তিনি বলেছেন, “আমি এখনও আবেদন করব, আমি এখনও নিবেদন করব, আপনারা সেই শান্তির পরিবেশ রক্ষা করুন। আর তা যদি নয় হয় আমি পূর্বে একটা ঘোষণা দিয়েছি, আমি এমন একটা কর্ম করব যে তাতে সমাজের ক্ষতি হবে না, কিন্তু চিরদিন যেন এ বিশ্ব স্মরণ করে নির্বাচনের জন্য হাসান উদ্দিন সরকার ওই কর্ম করেছে।”
শনিবার নগরীর পূবাইল এলাকায় গণসংযোগে গিয়ে তিনি বলেন, “আমাকে প্রশাসনিকভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। মামলা নেই তারপরও আমার লোকজনকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, হয়রানি করা হচ্ছে।”
এদিন সকালে ‘পুলিশি হয়রানি, গণগ্রেফতার ও ভয়ভীতি প্রদর্শন প্রসঙ্গে’ নির্বাচন কমিশনে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বিএনপির প্রার্থী।
হাসান সরকার বলেন, “আমার নেতা-কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে অভিযানের নামে পুলিশ হয়রানি করছে। গেল রাতে গাছা এলাকা থেকে কাউছার নামের এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতা-কর্মীরা নগরীর পোড়াবাড়ি এলাকা থেকে আমার প্রচারণার দুটি মাইক ছিনিয়ে গেছে।”
মেয়র পদে লড়ছেন সাতজন। ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন ২৫৬ জন, আর ১৯টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন ৮৪ জন। এই সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন।
মেয়র পদে দলীয় প্রতীকের নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির হাসান উদ্দিন সরকারের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম।
শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান হাসান সরকার।
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলব, আমরা যেন কলহ না করি, বিরোধ না করি, আমার যেন কারও সর্বনাশ না করি। । আমরা যেন শান্তির পথে চলি।
“২৬ তারিখ নির্বাচন হয়ে গেলে আমরা কিন্তু এখানেই একসাথে থাকব। রাজনীতি মানুষের কল্যাণের জন্য। রাজনীতির কারণে যদি মানুষের মধ্যে সমাজের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি হয়, মুরুব্বিদের মধ্যে অশান্তি সৃষ্টি হয়-সেটা রাজনীতি নয়।”