শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, গাজীপুরে ‘ভরাডুবির ভয়ে’ বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার-হয়রানি করা হচ্ছে।
“গাজীপুরেও সরকার খুলনা স্টাইলে নির্বাচন করার জন্য পুলিশকে দিয়ে ধানের শীষের সমর্থক ভোটারদের এলাকা ছাড়া করে সিটি করপোরেশন এলাকাকে শ্মশান ভূমিতে পরিণত করা হচ্ছে, যাতে ভোটারবিহীন নির্বাচন সুচারুভাবে সম্পন্ন করা যায়। “
রিজভীর ভাষায়, আওয়ামী লীগের বিজয় নিশ্চিত হয় ‘ভোট ডাকাতি, ভোট সন্ত্রাস, জালভোট, ভোটকেন্দ্র দখল ও অবৈধ অস্ত্রের আস্ফালনের’ মাধ্যমে।
“আর এগুলোর দিকে চোখ বন্ধ করে দায়িত্বহীন নির্বাচন কমিশন হাওয়া খেয়ে বেড়াচ্ছে। “
আগামী ২৬ জুন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সামনে রেখে গাজীপুরে বিএনপি নেতা-কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি পুলিশি তল্লাশির অভিযোগ তুলে রিজভী বলেন, “গতরাতেও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. মাজহারুল আলম, মীর হালিমুজ্জামান ননিসহ কাশিমপুর ও কোনাবাড়িতে দলের নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ তল্লাশির নামে হুমকি দিয়েছে।”
“দেশজুড়ে সরকারের বিরোধী দল নিধনের কর্মসূচি থামছে না। গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ চলছে। ”
রিজভী বলেন, “সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। জনগণ স্বৈরাচার সরকারকে লাল কার্ড দেখাতে বদ্ধ পরিকর। তাদের আস্ফালন উপেক্ষা করে জনগণ রাস্তায় নামতে শুরু করেছে।”
সংবাদ সম্মেলনের আগে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে কল্যাণপুরের কাছে এক মিছিলের নেতৃত্ব দেন রিজভী।
খালেদার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিতে ফেনীসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশি ‘হামলার’ নিন্দা জানিয়ে গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন তিনি।
অন্যদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট শামসুল হক, আবদুল হাই শিকদার, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আসাদুল করীম শাহিন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।