শুক্রবার সকালে নির্বাচনী গণসংযোগের সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা কামনা করি, তারা (নির্বাচন কমিশন) নিরপেক্ষ নির্বাচন করুক। একটা কথা আছে না- অ্যাজ ইউ সো, সো শ্যাল ইউ রিপ (যেমন কর্ম, তেমন ফল)।
“মুখেতো তারা সে রকম কথা বলতেছে, ভালো নির্বাচন হবে। সেটা হলে কমিশনকে ধন্যবাদ দিব, অভিনন্দন জানাব। আর না হলে পাল্টা শব্দ ব্যবহার করব।”
নতুন মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচনে আগামী ২৬ জুন ভোট দিতে যাচ্ছে গাজীপুরবাসী। নির্বাচন ঘিরে এখন প্রচার-প্রচারণায় সরগরম ঢাকার পাশের এই নগরী।
মেয়র পদে লড়ছেন সাতজন। ৫৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন ২৫৬ জন, আর ১৯টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন ৮৪ জন। এই সিটিতে মোট ভোটার ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন।
মেয়র পদে দলীয় প্রতীকের নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী হাসান সরকারের প্রধান প্রতিপক্ষ নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলম।
সকালে ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মোগরপাড়া, যোগীতলা নতুন বাজার এবং চান্দনা মোশারফের স্কুল এলাকায় গণসংযোগ করেন বিএনপির প্রার্থী হাসান সরকার। বাসন এলাকায় একটি পথসভায়ও বক্তব্য দেন তিনি।
ভোটের পরিবেশ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির এই সদস্য সাংবাদিকদের বলেন, “যত অবিচার-অত্যাচার হোক, গাজীপুরবাসী তা প্রতিহত করবে। নির্বাচনে তার প্রতিফলন হবে।”
বিএনপি নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে ভোটারদের হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে- আওয়ামী লীগের এমন অভিযোগের বিষয়ে হাসান সরকার বলেন, “আপনারা এখানে আছেন, পত্র-পত্রিকার রেকর্ড আছে। হুমকি-ধমকি দিলে তারা দেখাক।
“তারা রিকশাওয়ালার কাছে চান্দাবাজি করতে গিয়ে যারা অস্ত্র ব্যবহার করে, তাদের মুখ থেকে এমন কথা আসছে।”
দুপুরে নগরীর ওয়ারলেস বাইতুস সালাত জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে মুসল্লিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় এবং লিফলেট বিলি করেন বিএনপির প্রার্থী।
এর আগে পথসভায় দেওয়া বক্তব্যে হাসান সরকার বলেন, “একজন প্রার্থী হিসাবে আপনারা আমাদের বক্তব্য, আমাদের অঙ্গীকার শুনতে চান। কিন্তু আমাদের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও আমরা আপনাদের কাছে যেতে পারছি না।”