নির্বাচিত হলে সিটি করপোরেশনের বাসিন্দাদের ‘সেবক’ হিসেবে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে নৌকায় ভোট চেয়েছেন তিনি।
শুক্রবার সকালে একটি নির্বাচনী পথসভায় জাহাঙ্গীর সাংবাদিকদের বলেন, “আমি বলেছি, এই সিটি করপোরেশনের মেয়র সবার জন্য উন্নয়নের পরিবেশ তৈরি করে দেবে। তারা (বিএনপি) কেন্দ্রীয় ও জাতীয় রাজনীতি যেন এখানে না করে।
“আমরা স্থানীয় মানুষ, আমরা সব দলের মানুষকে নিয়ে এখানে একসাথে আছি। আমরা সবার উন্নয়নের জন্য একসাথে কাজ করছি।”
নতুন মেয়র ও কাউন্সিলর পেতে আগামী ২৬ জুন ভোট দিতে যাচ্ছে গাজীপুরবাসী। নির্বাচন ঘিরে এখন প্রচার-প্রচারণায় সরগরম ঢাকার পাশের এই নগরী।
মেয়র পদে দলীয় প্রতীকের নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীরের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে আছেন বিএনপি থেকে ধানের শীষের হাসান উদ্দিন সরকার।
নির্বাচন ঘিরে পোস্টারে পোস্টারে ছেঁয়ে গেছে পুরো নগরী, ভোটাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
সকাল ৯টায় ছয়দানা এলাকায় নিজের বাসার সামনে তাবলীগ জামাতের মুরুব্বী এবং শতাধিক কর্মীর সঙ্গে মতবিনিময় করে দিনের গণসংযোগ শুরু করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম।
এরপর মহানগরীর ১৩ নম্বর ওয়াডের্র কলাবাগানে পথসভা শেষে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের মজলিশপুর, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বাংলাবাজার ও ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বিপ্রবর্থায় গণসংযোগ করেন তিনি।
পরে ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের খালপাড়া এলাকায় পথসভা শেষে চান্দনা চৌরাস্তা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমার নামাজ পড়েন জাহাঙ্গীর। সেখানেও ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় ও ভোট চান তিনি।
বিকালে বঙ্গবন্ধু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকের সামনে পথসভার মাধ্যমে দ্বিতীয় দফা প্রচারণা শুরু করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী।
পরে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের আক্তার মার্কেট, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের টিঅ্যান্ডটি রোড, শাপলা ম্যানশন ও অনুপম সুপার মার্কেটে গণসংযোগ করে টঙ্গীতে মহানগর আওয়ামী লীগের যৌথসভায় যোগ দেন তিনি।
জনগণের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমি অনুরোধ করব, গণতন্ত্রের স্বার্থে, আমাদের গাজীপুরের মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে আপনারা সকলে আওয়ামী লীগ ও নৌকাকে সাপোর্ট করেন। আপনাদের একজন কর্মচারী হিসাবে আমাকে মেয়র এবং নৌকা মার্কায় ভোট দেন।”