শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সম্প্রতি বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতা, তার প্যারোলে মুক্তির দাবি এবং ঈদ যাত্রা বিষয়ে বিএনপির বিভিন্ন নেতার বক্তব্যর জবাব দিতেই এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
হাছান মাহমুদ বলেন, খন্দকার মাহবুব হোসেন বেগম খালেদা জিয়াকে প্যারোলে মুক্তি দিতে বলেছেন। তাহলে কি প্রকারান্তরে উনাকে পালানোর সুযোগ করে দিতে বলছেন?
“বিএনপি নেতারা কেন হঠাৎ করে তার প্যারেলো মুক্তির কথা বলছেন, সেটি রহস্যজনক। অতীতে আমরা দেখতে পেয়েছি- তারেক রহমান মুচলেকা দিয়ে মুক্তি পেয়েছিল। আর ফিরে আসেন নাই। এবং রাজনীতি না করার কথা বলে বিদেশে বসে রাজনীতি করা শুরু করেছেন।
“মা-ছেলের তো দ্বৈত চরিত্র হওয়ার কথা নয়। ছেলেকে দিয়ে মাকে বিচার করা যেতে পারে।”
হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নেতারা বলছেন- শেখ হাসিনা প্যারোলে মুক্তি নিয়েছেন। তিনি কখনোই প্যারোলে মুক্তি নেননি। মৃত্যুঝুঁকি মাথায় নিয়ে তিনি দেশে ফিরেছিলেন।
“শেখ হাসিনার পলায়নপর মনোবৃত্তি নেই। বিএনপি নেতাদের কথায় মনে হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়া পলায়নপর মনোবৃত্তি দেখা দিয়েছে।”
আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা শুনে মনে হয় তাদের সমস্ত রাজনীতি বেগম খালেদা জিয়ার হাঁটু ব্যথা ও কোমরের ব্যথার মাঝখানে আটকে গেছে।
“বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। বেগম জিয়ার হাঁটুর ব্যথা ১৫ বছরের পুরনো। কোমরের ব্যথাও পুরনো। এসব নিয়েই তিনি সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। আগে গাড়ি থেকে নামতে উনার হাত ধরতে হতো। এখন তিনি নিজেই হাঁটতে পারেন। কারাবন্দি হওয়ার পর উনার স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে।”
বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় কারাগারে সার্বক্ষনিক একজন চিকিৎসক, একজন নারী ও একজন পুরুষ নার্স দায়িত্ব পালন করছেন বলেও জানান তিনি।
গত বুধবার নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সাথে আলাপে ‘মানবিক বিবেচনায়’ বেগম খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির দাবি জানান তার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ঈদের ঘরমুখী মানুষ দুর্ভোগ পেলেও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ‘মিথ্যা কোরাস’ করছেন।
এ বক্তব্যের উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, তারা সংবাদ সম্মেলনে কটাক্ষ করেছেন। অথচ ঢাকা, চট্টগ্রাম কোথাও যানজট নেই।
“মহাসড়কে আগে যেমন পরিস্থিতি হতো এখন তা নেই। মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পারছেন। অতিবৃষ্টিতে কিছু সড়ক নষ্ট হলেও দ্রুত গতিতে মেরামত কাজ চলছে।”
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।