সোমবার সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের উপর সমাপনী আলোচনায় এই হুমকি দেন তিনি।
সম্পূরক বাজেট নিয়ে আলোচনায় জাতীয় পার্টির কয়েকজন সংসদ সদস্য রোববার মুহিতের কড়া সমালোচনা করেছিলেন। সোমবার বক্তব্যে জাতীয় পার্টির সেলিম উদ্দিন অর্থমন্ত্রী মুহিতকে ‘জাতীয় পার্টির মন্ত্রী ছিলেন’ বলে উল্লেখ করেন।
পরে মুহিত বলেন, “আমি আগে কয়েকবারই বলেছি। জাতীয় পার্টির সদস্যরা অস্বীকার করেছেন।
“আমি কোনোদিন জাতীয় পার্টির সদস্য ছিলাম না, মন্ত্রীও ছিলাম না। জেনারেল এরশাদের সামরিক সরকারের মন্ত্রী ছিলাম। জাতীয় পার্টির তখন জন্মও হয়নি। আশা করি তারা মনে রাখবেন।”
“যদি মনে না রাখেন তবে আমি তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব,” হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
৮৫ বছর বয়সী সাবেক আমলা মুহিত এইচ এম এরশাদের সামরিক সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দুটি বাজেট দিয়েছিলেন। আওয়ামী লীগের অর্থমন্ত্রী হিসেবে এনিয়ে একটানা ১০টি বাজেট দিয়ে রেকর্ড গড়লেন তিনি।
গত বছরও সংসদে সম্পূরক বাজেটের আলোচনায় মুহিত বলেছিলেন, “আমি জাতীয় পাটির সদস্যও ছিলাম না, মন্ত্রী তো দূরের কথা। এইচ এম এরশাদ ১৯৮২ সালে ঘোষণা করলেন যে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন নির্দলীয় সরকার গঠন করেছেন। এর দুবছর পর তিনি পার্টি গঠন করেন। পাটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চাইলে আমি পদত্যাগের কথা জানিয়ে দেই এবং পরে পদত্যাগ করি।”
সোমবার অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের পর সম্পূরক বাজেটের বিভিন্ন মঞ্জুরি দাবি এবং এর উপর আনা ছাঁটাই প্রস্তাবের আলোচনায় জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ পুনরায় প্রসঙ্গটি তোলেন।
তিনি বলেন, “জাতীয় পার্টির বহু পূর্বেই জেনারেল এরশাদের সামরিক সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে বাজেট দিয়েছেন। আমরা এটা রেকর্ডে রাখতে চাই, তিনি (মুহিত) আমাদের জাতীয় পার্টির কখনোই সদস্য ছিলেন না।
“আরও আশ্বস্ত করতে চাই আপনার মতো একজন জ্ঞানী-গুণী মানুষকে ভবিষ্যতে জাতীয় পার্টি কখনোই স্থান দেবে না। এর জন্য আপনাকে আদালতে যেতে হবে না।”
অন্যদিকে সেলিম উদ্দিন বলেন, “অর্থমন্ত্রী যেভাবে ধমকিয়েছেন... সহকর্মী হিসেবে এভাবে ধমকানোর সুযোগ নেই।”