বৃহস্পতিবার সংসদে বাজেট উপস্থাপনের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “এই বাজেট কল্পলোকের অবাস্তব বাজেট। এটা বাস্তবায়নযোগ্য নয়। বাস্তবতার সাথে এই বাজেটের কোনো মিল নেই।”
এবার নিয়ে টানা দশম বার জাতীয় বাজেট প্রস্তাব করলেন মুহিত। এরশাদের সামরিক শাসনামলেও দুই বার বাজেট দেন মুহিত।
২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য যে বাজেট মুহিত দিয়েছেন, তাতে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা তিন লাখ ৩৯ হাজার ২৮০ কোটি টাকা ধরেছেন তিনি। যা আদায় অসম্ভব বলে অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন।
প্রস্তাবিত বাজেটে আয় ও ব্যয়ের হিসাবে সামগ্রিক ঘাটতি থাকছে এক লাখ ২৫ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণ থেকে ওই ঘাটতি মেটানোর পরিকল্পনা করেছেন মুহিত।
সরকারের জোট শরিক দলের নেতা এরশাদ বলেন, “এই বাজেট হয়েছে ঘাটতির রেকর্ড করা বাজেট। এই বাজেট নিয়ে মনোতুষ্টি করা গেলেও সার্বিকভাবে দেশের কল্যাণ হবে না।”
তিনি বলেন, “জনগণের করের টাকায় ঋণের নামে লুটপাট হওয়া ব্যাংকগুলোর ঘাটতি পূরণ করার কথা বলা হয়েছে। এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু হতে পারে না।”
বাজেটে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বিনিয়োগে উৎসাহ দেওয়ার কোনো কোনো বিষয় নেই বলে এরশাদের মন্তব্য। সুশাসন প্রতিষ্ঠায় কোনো উদ্যোগ বা দিক-নির্দেশনাও খুঁজে পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
এরশাদ বলেন, “নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটারদের তুষ্ট করার জন্যই এই বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। তবে আমাদের দেশের ভোটাররা অনেক সচেতন। বিশাল অঙ্কের ঘাটতি বাজেট দিয়ে তাদের তুষ্ট করা যাবে না।”