দুই মামলায় খালেদার জামিন আবেদনের শুনানি পিছিয়েছে

কুমিল্লা ও নড়াইলের দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি পিছিয়ে মঙ্গলবার রেখেছে হাই কোর্ট।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 May 2018, 12:10 PM
Updated : 30 Sept 2018, 12:22 PM

কুমিল্লা-নড়াইলের তিন মামলায় রোববার করা জামিন আবেদনের মধ্যে দুইটিতে সোমবার শুনানির জন্য বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের বেঞ্চের কার‌্যতালিকায় ছিল।

ক্রম অনুসারে তা শুনানির জন্য ওঠার পর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম প্রস্তুতির জন্য সময়ের আবেদন করলে আদালত শুনানি একদিন পিছিয়ে দেয়।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানির জন্য ছিলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ জে মোহাম্মদ আলী, মাহবুব উদ্দিন খোকন, এ কে এম এহসানুর রহমান।

এহসানুর রহমান পরে বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কুমিল্লা ও নড়াইলের তিনটি মামলায় রোববার বিএনপির চেয়ারপারসনের পক্ষে জামিন আবেদন করা হয়ছিল। আজ দুটি আবেদন শুনানির জন্য কার‌্যতালিকায় আসে এবং শুনানির জন্য উঠলে অ্যাটর্নি জেনারেল আগামীকাল শুনানি করলে সুবিধা হয় বলে আদালতের কাছে আরজি জানালে আদালত কাল আবার শুনানির জন্য রেখেছে।”

“তিনটি জামিন আবেদনের মধ্যে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের একটি মামলা বিশেষ আইনে হওয়ায় সেটির ফৌজদারী আপিল দায়ের করা হয়েছে। এর সঙ্গে জামিন আবেদনও আছে। আদালতের নিয়ম অনুযায়ী ফৌজদারী আপিল হলে সেটির শুনানি হয় মঙ্গল বা বুধবার। ফলে ওই আবেদনটির শুনানি বুধবার হতে পারে।” 

জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজা হওয়ার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি।

আপিল করায় ওই মামলায় তিনি সর্বোচ্চ আদালত থেকে চার মাসের জামিন পেলেও তার মুক্তি আটকে আছে আরও কিছু মামলায় গ্রেপ্তার থাকার কারণে।

এর মধ্যে কুমিল্লার দুই মামলায় বাস পুড়িয়ে মানুষ হত্যা এবং বিস্ফোরক দ্রব্যের অবৈধ ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। আর নড়াইলের মামলাটি হয়েছে মানহানির অভিযোগে।

জামিন আবেদনের পর এহসানুর রহমান বিডিনিউজটোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিন, কুমিল্লার দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের জামিন চেয়ে গত ২২ এপ্রিল আবেদনের পরদিন শুনানি হয়। পরে আদালত ৭ জুন তারিখ নির্ধারণ করে অধিকতর শুনানির জন্য রাখে।

পরে গত ১৪ মে তারিখ এগিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট আদালতে আবেদন করলে আদালত তা নাকচ করে।

একইভাবে নড়াইলে মানহানির মামলায় গত ১৬ এপ্রিল জামিন আবেদন করা হলে ৮ মে তার ওপর শুননি হয়। কিন্তু শুনানির পর আদালত কোনো আদেশ না দিয়ে ২৫ মে মামলার তারিখ রেখেছে।