রাজনীতিকদের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের ইফতার

রাজনীতিকদের নিয়ে ঢাকার লেডিস ক্লাবে ইফতার করেছেন বিএনপি নেতারা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 May 2018, 02:09 PM
Updated : 19 May 2018, 04:28 PM

শনিবার দ্বিতীয় রোজায় বিএনপির এই আয়োজনে দলীয় চেয়ারপারসন কারাবান্দি খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতি মঞ্চে তার আসন শূন্য রাখা হয়।

মঞ্চে খালেদা জিয়ার শূন্য চেয়ারের দুই পাশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা ছিলেন।

অতিথি সারিতে বসে ইফতার করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বীরপ্রতীক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির আ স ম আবদুর রব, তার স্ত্রী তানিয়া রব, সাধারণ সম্পাদক আবুল মালেক রতন, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, বিকল্পধারা বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক ওমর ফারুক।

ইফতারে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, মাহবুবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

রাজনীতিবিদদের স্বাগত জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীল বলেন, “ইফতারে আসার জন্য আমি জাতীয় নেতৃবৃন্দকে স্বাগত ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। প্রতি বছর আমরা এই ইফতারের আয়োজন করি।

“এই ইফতারের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন আমাদের নেত্রী, ১৬ কোটি মানুষের প্রিয় নেত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। আজকে তিনি আমাদের মাঝে উপস্থিত নেই। এই সরকারের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় কারাগারের অন্ধ প্রকোষ্ঠে আজকে তাকে ইফতার করতে হচ্ছে। আমরা সবাই সেজন্য আজকে ভরাক্রান্ত।”

ইফতার অনুষ্ঠানে দেওয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি বি চৌধুরী।

তিনি বলেন, “আজকে বিএনপির নেতারা বেশি না হলেও কর্মীদের ভয়ে বুক কাঁপে দুরু দুরু করে। কাঁপবে না কেন? তারা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কিত। কি হবে যদি আবার সরকারি দল ক্ষমতায় আসে- এবারে আমাদের কি হবে? এটা স্বাভাবিক শঙ্কা। অভিজ্ঞতায় বলে খুব সুবিধা হবে না।

“একইভাবে সরকারের কিছু কিছু রাজনৈতিক কর্মী আমার কাছে আসছেন তাদেরও বুক কাঁপে। যদি বিএনপি আসে তাহলে তাদের কি হবে? এটা কী খুব ভালো কথা, এটা কী রাজনীতির জন্য শুভ, এটা কী দেশের ভবিষ্যতের জন্য শুভ? এটা কী ইংগিত নয় যে, আবার একটা পর্যায় যেতে পারে দেশ, যেখানে মানুষ মানুষকে হত্যা করে, নিগৃহিত করবে, জেলে দেবে, আগুন জ্বালিয়ে দেবে। কিন্তু থামাবে কে? আমি চিন্তার খোরাক দিয়ে গেলাম।”

তিনি বলেন, “এমন একটা শক্তি দরকার যে ওদিকেও কনট্রোল করতে পারে, এদিকেও কনট্রোল করতে পারে। তারা যদি উঠে আসতে পারে। বলে দেয়- তোমরা যদি একটা মানুষের গায়ে হাত দাও তাহলে সমর্থন উইথড্র করব, গোল্লায় যাও, বিরোধী দলে যাও। একমাত্র তাহলেই দেশ রক্ষা পেতে পারে।”

ইফতারে আরো অংশ নেন ২০ দলীয় জোটের শরীক জামায়াতে ইসলামীর মিয়া গোলাম পারোয়ার, আবদুল হালিম, নুরুল ইসলাম বুলবুল, সেলিমউদ্দিন, মোবারক হোসেন, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুর রকীব, মাওলানা আবদুল করীম, খেলাফত মজলিশের আহমেদ আবদুল কাদের, বিজেপির আবদুল মতিন সউদ, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, এসএমএম আলম, আহসান হাবিব লিংকন, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, সাহাদাত হোসেন সেলিম, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এম এম আমিনুর রহমান, শাহিদুল রহমান তামান্না, জাগপার রেহানা প্রধান, খন্দকার লুৎফর রহমান, আসাদুর রহমান খান, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, এনডিপির খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, লেবার পার্টির দুই অংশের মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, হামদুল্লাহ আল মেহেদি, মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, ন্যাপ-ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, সৈয়দ মাহবুব হোসেন, ইসলামিক পার্টির আবু তাহের চৌধুরী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের দুই অংশের মাওলানা নুর হোসাইন কাশেমী, মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, ডিএলের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি প্রমুখ।

বিএনপি নেতাদের মধ্যে ছিলেন আবদুল্লাহ আল নোমান, কামাল ইবনে ইউসুফ, শাহজাহান ওমর, আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সেলিমা রহমান, বরকতউল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, আবদুল মান্নান, আমীনুল হক, জয়নাল আবেদীন, রুহুল আলম চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, শওকত মাহমুদ, আমানউল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, গোলাম আকবর খন্দকার, জিয়াউর রহমান খান, হাবিবুর রহমান হাবিব, আনহ আখতার হোসেইন, সুজাউদ্দিন, আবদুল কাইয়ুম, শাহিদা রফিক, নজমুল হক নান্নু, আব্দুল কুদ্দুস, মামুন আহমেদ, এনামুল হক চৌধুরী, ফরহাদ হালিম ডোনার, জিএম ফজলুল হক, মাহবুবউদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিলকিস জাহান শিরিন, শামা ওবায়েদ, আলহাজ্ব সালাউদ্দিন আহমেদ, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শিরিন সুলতানা, হারুনুর রশীদ, কায়সার কামাল, ফাওয়াজ হোসেন শুভ, এবিএম মোশাররফ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, নাজিমউদ্দিন আলম, দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন, আবদুস সালাম আজাদ, আবদুল বারী ড্যানি, শহিদুল ইসলাম বাবুল, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, অঙ্গসংগঠনের কাজী আবুল বাশার, মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, আনোয়ার হোসেইন, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, হাফেজ আব্দুল মালেক, শাহ মো. নেসারুল হক, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের শায়রুল কবির খান ও শামসুদ্দিন দিদার সহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী নজরুল ইসলাম মনজুও ইফতারে ছিলেন।

ইফতারের আগে কারাবন্দি অসুস্থ খালেদা জিয়ার মুক্তি ও লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আরোগ্য লাভসহ দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত করা হয়।