দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “এই নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করার যোগ্য নয়। যারা একটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারে না, জনগণের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করতে পারে না, তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচন কীভাবে পরিচালনা করবে?”
খুলনার ভোটে ধানের শীষের প্রার্থী নুরুল ইসলাম মঞ্জুর পরাজয়ের প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার ঢাকায় বিএনপির এক যৌথ সভার পর মির্জা ফখরুলের এ বক্তব্য আসে।
তিনি বলেন, “আমরা সেই জন্য বার বার করে বলছি, এই নির্বাচন কমিশনের শুধু পদত্যাগ নয়, পুনর্গঠন চাই। আমরা অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনকে ভেঙে দিয়ে পুনর্গঠনের দাবি জানাচ্ছি।”
গত মঙ্গলবার খুলনা সিটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী মঞ্জুকে প্রায় ৬৬ হাজার ভোটে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক।
অন্তত একশ কেন্দ্রে ভোট জালিয়াতি হয়েছে অভিযোগ তুলে ভোটের এই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন মঞ্জু এবং তার দল বিএনপি।
“খুলনা সিটিতে ‘নিয়ন্ত্রিত’ নির্বাচনের নতুন রূপ” শিরোনামে বৃহস্পতিবার প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, “খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন ছিল এই শহরের মানুষের জন্য এক নতুন অভিজ্ঞতা। কোনো দাঙ্গা-হাঙ্গামা না বাধিয়ে কেবল সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রেখে এবং প্রতিপক্ষকে চেপে ধরে ভোট নেওয়ার এমন দৃশ্য এই শহরের মানুষ আগে দেখেনি।”
সেই প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল বলেন, “খুলনার নির্বাচন আপনারা দেখেছেন। সেই নির্বাচনেও তারা (সরকার) সেখানকার মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। পত্র-পত্রিকায় এসেছে- আজকে নতুন কায়দায় নতুন রূপে ভোট ডাকাতি শুরু হয়েছে, ভোট কেন্দ্র দখলের রাজনীতি শুরু হয়েছে।”
আওয়ামী লীগের এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন যে ‘সুষ্ঠু হতে পারে না’, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তা প্রমাণ হয়ে গেছে বলে দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।
নয়া পল্টনে দেলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ ব্রিফিংয়ে মির্জা ফখরুল আবারও অভিযোগ করেন, তাদের চেয়ারপারসন অসুস্থ খালেদা জিয়াকে ‘সুচিকিৎসা না দিয়ে’ কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে।
দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের সাজায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসনকে অবিলম্বে মু্ক্তি দেওয়ারও দাবি জানান তিনি।
অন্যদের মধ্যে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বিলকিস জাহান শিরিন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় নেতা জয়নাল আবেদীন, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, আবদুস সালাম আজাদ, আসাদুল করীম শাহিন, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, জনগোমেজ সংবাদ ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।