মঙ্গলবার ভোট শেষে বিকালে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “আজকের ভোট-সন্ত্রাসের ঘটনায় খুলনা মহানগীর ভোটাররা ব্যথিত, বঞ্চিত ও অপমানিত। সারাদিন ধরে যা হয়েছে আমাদের কাছে মনে হয়েছে এটা একটা প্রহসনের মতই।”
প্রায় ৫ লাখ ভোটারের এ সিটির ২৮৯টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে তিনটি কেন্দ্রের ভোট অনিয়মের কারণে স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।
এছাড়া আরও অন্তত সাতটি কেন্দ্রের-ভেতরে বাইরে গোলযোগ, অনিয়ম, এজেন্টদের বাধা ও নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
রিজভী বলেন, “ভোট শেষ হয়েছে, গণণা শুরু হলে বোঝা যাবে এটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। এরপর আমরা প্রতিক্রিয়া জানাব।”
এ নির্বাচনে বিএনপির প্রতীক ধানের শীষের প্রার্থী দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু অভিযোগ করেছেন, অর্ধেকের বেশি কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। বিএনপি কর্মীদের মারধরও করা হয়েছে।
রিজভী বলেন, ‘‘আওয়ামী সন্ত্রাসী কর্তৃক দখল করে নেওয়া ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা দেড় শতাধিকের অধিক। ভোটের শুরু থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত এই দখলের সংখ্যা ছিলো ৯৫টি।
বিজয়ী হিসেবে তালুকদার আবদুল খালেকের নামে পোস্টার দেখিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “ভোট এরকম হবে বলেই ভোটের দুই দিন আগে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জিতে গেছেন জেনে আগাম পোস্টার ছাপিয়ে দেয়ালে দেয়ালে সেঁটে দিয়েছেন। ”
বর্তমান ‘অবৈধ’ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশে কোনোদিনই ‘দূষণমুক্ত নির্বাচন’ হবে না বলে মন্তব্য করেন রিজভী।
তিনি বলেন, “সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাচন কমিশন ও আওয়ামী সশস্ত্রী ক্যাডাররা একই নৌকার যাত্রী হওয়ার কারণে ভোট ডাকাতির নির্বাচনকে আদর্শ নির্বাচন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে। শেখ হাসিনার রাজত্বে গণতন্ত্র এখন ছিন্নমূলে পরিণত হয়েছে।”
মঙ্গলবার ঝালকাটি সদর উপজেলার ৭ নম্বর কোনাবালিয়া এবং চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার দদোশ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনেও ‘আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা’ সব ভোট কেন্দ্র দখল করে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী।
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, সেলিম ভুঁইয়া, আসাদুল করিম শাহিন, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।