বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে রোববার সকালে সাক্ষাৎ দেওয়ার পর সচিবালয়ে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।
পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকা খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য দল ও পরিবারের সদস্যদের উদ্বেগের মধ্যে রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিএনপির দুই নেতা। তারা খালেদা জিয়াকে দ্রুত ইউনাইটেড হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা এবং চিকিৎসার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “তিনি আগে থেকেই কতগুলো রোগে ভুগছেন। আমাদের চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা দিচ্ছেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বঙ্গবন্ধুতে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তারপরও তিনি কয়েকজন চিকিৎসকের কথা বলেছেন যারা তার চিকিৎসা দিতেন।”
মন্ত্রীর দাবি, সরকার সেসব চিকিৎসকের পরামর্শ এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থাও নিয়েছে।
খালেদার পছন্দের চিকিৎসকরা এমআরআইসহ আরো কয়েকটি পরীক্ষার কথা বলেছেন বলে জানান মন্ত্রী।
খালেদা জিয়ার কৃত্রিম হাঁটু সংস্থাপিত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “কৃত্রিম হাঁটু থাকলে সব মেশিনে 'এমআরআই' করা যায় না। এ ধরনের মেশিন ইউনাইটেডে রয়েছে জানিয়ে দুই নেতা সেখানকার কথা বলেছেন।এ বিষয়ে আমাদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেব।
“তাদের (বিএনপির দুই নেতা) এটাই বলেছে, যা যা প্রয়োজন আমরা তাই করছি এবং সামনে যা প্রয়োজন হবে, জেলকোড অনুযায়ী হবে। জেলকোডের বাইরে যদি কিছু করতে হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।”
খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ কি না- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “কতগুলো রোগে তিনি আগের থেকেই ভুগতেন।
তার চিকিৎসার জন্য যা প্রয়োজন হবে, সেই ব্যবস্থাই নেব।”
ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোনো বাধা আছে কিনা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “জেলকোড অনুযায়ী সরকারি যে চিকিৎসা কেন্দ্রগুলো রয়েছে, সেগুলোর একটা নিয়মকানুন রয়েছে।আমরা সে জায়গা থেকে বলছি যদি প্রয়োজন হয় সিদ্ধান্ত নেব।”
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “তার যে চিকিৎসা তিনি তো কোনোটার জন্য ঘন ঘন বিদেশে যান নাই। এমন নজির আছে? নাই। উনি দেশে থেকেই চিকিৎসা নিয়েছেন। আমাদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা চিকিৎসা করছেন এবং তাদের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
খালেদা জিয়ার চাহিদা এবং পছন্দ মতোই তার স্বজন এবং দলের নেতারা দেখা করতে পারছেন বলেও জানান আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
এক প্রশ্নে তিনি বলেন, “জেলকোড অনুযায়ী নির্দিষ্ট বিরতিতে তার আত্মীয় ও রাজনৈতিক নেতারা দেখা করছেন। উনি মাঝে মাঝে বলছেন তিনি সবার সঙ্গে দেখা করবেন না। উনাকে যেন তালিকা আগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়- সে অনুযায়ী উনি যার সঙ্গে দেখা করতে চান, নিয়ম অনুযায়ী দেখা করার ব্যবস্থা করা হয়।”
এছাড়া স্বজনরা যখনই আসছেন- তার সঙ্গে দেখা করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান।