খালেদা জিয়া মুক্ত হলেই নির্বাচন হবে: ফখরুল

খালেদা জিয়ার মুক্ত হলেই দেশে নির্বাচন হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 April 2018, 03:13 PM
Updated : 21 April 2018, 03:28 PM

শনিবার বিকালে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আজকে দেশনেত্রীকে আটকে রেখে সরকার মনে করছে একটা নির্বাচন হবে। নির্বাচন কিসের? যেদেশে একটি রাজনৈতিক দল তার স্বাভাবিক কার্য্ক্রম করতে পারে না, জনসভা  করতে পারে না, কোথাও গিয়ে মিটিং করলে বলা হচ্ছে নাশকতার মিটিং করছে, যে দেশে একটা পোস্টার লাগানো যায় না, লিফলেট বিতরণ করা যায় না। এই অবস্থায় আপনাদের নির্বাচনের কথা বলতে লজ্জা করে না?

“আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, নির্বাচন তখনই হবে যখন দেশে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি হবে, নির্বাচন তখনই হবে যখন বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হয়ে আসবেন এবং আমাদের নেতৃত্ব দেবেন,  নির্বাচন তখনই হবে যখন দেশে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে। আমাকে আপনি কোনো কিছুই করতে দেবেন না, হাত-পা বেঁধে রাখবেন আর বলবেন সাঁতার দাও- সেটা তো হবে না। সুতরাং শুভ বুদ্ধির উদয় হোক আপনারা মধ্যে।”

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা বলতে চাই, আপনারা অবিলম্বে অন্তত দেশনেত্রীকে মুক্তি দিন যেন তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়। তিনি নিজে যেভাবে চাইবেন সেভাবে চিকিৎসা হবে।”

বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে ‘সরকারের অন্যায়ের বিরুদ্ধে’ যুব সমাজকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

‘সরকারের পররাষ্ট্র নীতি চরম ব্যর্থ’

মির্জা ফখরুল বলেন, রোহিঙ্গা সংকটসহ ভারতের সঙ্গে অমীমাংসিত সমস্যা সমাধানে সরকারের ব্যর্থতা প্রমাণ করে তাদের পররাষ্ট্রনীতি ব্যর্থ।

“প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে কমনওয়েলথ সম্মেলনে রানি এলিজাবেথের সঙ্গে করমর্দন করছেন দেখলাম। তাতো হচ্ছে। কিন্তু আমরা রেজাল্ট কী দেখতে পারছি? রেজাল্ট দেখতে পারছি যে, মিয়ানমারের সঙ্গে এতো সুসম্পর্ক এখন পর্যন্ত ১০ লাখের মধ্যে একজন রোহিঙ্গাকেও আপনারা ফেরত পাঠাতে পারেননি। চরম ব্যর্থ সরকারের পররাষ্ট্রনীতি।  ভারত এতো বড় বন্ধু, এখন নাকি সম্পর্কের সর্বোচ্চ স্তরে তারা অবস্থান করছে। সেই ভারতের সাথে তিস্তা নদীর পানির এখন পর্যন্ত কোনো সুরাহা হয়নি। এখনো সীমান্তে আমাদের লোকজনকে গুলি করে মেরে ফেলা হচ্ছে। আমরা বলতে চাই, এরা পারবে না। পারবে না এজন্য যে এদের জনগণের সাথে কোনো সম্পর্ক নাই।”

জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ২০ দলীয় জোটের শরিক জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) যুব সংগঠন জাতীয় যুব সংহতির উদ্যোগে ‘বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও চলমান গণতান্ত্রিক সংগ্রাম’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।

সংগঠনের আহ্বায়ক মহসিন সরকারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক নিজামউদ্দিন সরকারের পরিচালনায় আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি টি আই এম ফজলে রাব্বী চৌধুরী, মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার, প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএমএম আলম, আহসান হাবিব লিংকন, নওয়াব আলী আব্বাস খান, সেলিম মাস্টার, প্রয়াত নেতা কাজী জাফরের মেয়ে কাজী জয়া, জাতীয়তাবাদী যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি মোরতাজুল করীম বাদরুসহ যুব সংহতির নেতারা বক্তব্য রাখেন।