তিনি বলেছেন, “দণ্ডিত কোনো অপরাধীর মুক্তির শর্তে যদি কেউ নির্বাচনে আসতে চায়, তাতে সায় দেবো না। সেই শর্ত একটা অরাজনৈতিক শর্ত। এই শর্ত মেনে নেওয়া মানে হচ্ছে বাংলাদেশে অপরাধতন্ত্রকে মেনে নেওয়া।”
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে একথা বলেন ইনু।
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত খালেদাকে কারাগারে রেখে নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে ইতোমধ্যে জানিয়েছেন তার দল বিএনপির নেতারা। ফলে দশম সংসদ নির্বাচনের মতো একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ এখন পর্যন্ত অনিশ্চিত।
জাসদ সভাপতি ইনু বলেন, “তারা নির্বাচন বর্জন করার একটা পাঁয়তারা করছেন। সেই পাঁয়তারার অংশ হিসেবে দণ্ডিত অপরাধীর মুক্তির প্রশ্নটা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সঙ্গে জুড়ে দিচ্ছেন।”
নির্বাচনকালীন ‘সহায়ক সরকার’র যে দাবি বিএনপি তুলেছে, তাও ভোট বানচালের চেষ্টা বলে মনে করছেন তিনি।
ইনু বলেন, “নির্বাচন বানচাল হয়ে গেলে বাংলাদেশে অস্বাভাবিক সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। অস্বাভাবিক সরকার বাংলাদেশে রাজনৈতিক বিপর্যয় ডেকে আনবে। কোনো অবস্থাতেই বাংলাদেশ আর পেছন দিকে যেতে পারে না।
“২০১৮ সালের ডিসেম্বরের পরে বাংলাদেশ কোন পথে যাবে এই প্রশ্নের মীমাংসার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ টিকবে কি টিকবে না, সেটা নির্ধারিত হবে।”
ইনু বলেন, “বিএনপির কাছে ভোট বড় কথা নয়। তাদের এজেন্ডা হচ্ছে বাংলাদেশকে বাংলাদেশের পথ থেকে পাকিস্তান পন্থার পথে আবার ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া। চক্রান্তের পথে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া।”
তা মোকাবেলায় সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ও সরকারের ধারাবাহিকতা রাখার উপর জোর দেন তিনি।
“যে কোনো মূল্যে রাজাকার-জঙ্গিবাদী-আগুন সন্ত্রাসী ও তার সঙ্গী বিএনপি এবং বেগম খালেদা জিয়াকে ক্ষমতার বাইরে রাখতে হবে। এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য সামনে নিয়ে আমরা আগামী ছয়টি মাস অতিক্রম করব।”
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুকুর আলী শুভ।