চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির বিরুদ্ধে ‘চাঁদার জন্য মারধরের’ অভিযোগ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কাদের সংগঠনকেই পাল্টে দেওয়ার এ কথা বলেন।
শুক্রবার রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সিটিটউট মিলনায়তনে দলীয় এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নে ছাত্রলীগের সাবেক এই সভাপতি বলেন, “ছাত্রলীগকে নিয়ে আমরা নতুন করে ভাবছি। আমাদের ছাত্রলীগের সম্মেলন আছে আপনারা জানেন। সেই সম্মেলনে আমরা নেতৃত্বের গঠনের দিক দিয়ে… এবং ছাত্রলীগকে নতুন মডেলে কাজ করার একটা নির্দেশনা নেত্রীর আছে, আমরা সেই দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। একটু ধের্য ধরুন।”
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে ইউনিএইড নামের এক কোচিং সেন্টারের পরিচালক রাশেদ মিয়াকে তার কার্যালয়ে রনির মারধরের একটি ভিডিও ফেইসবুকে ঘুরছে।
রাশেদ মিয়া বলছেন, ওই ঘটনার পর গত ১৩ এপ্রিল রনি ও তার সহযোগীরা ২০ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে ফের তাকে মারধর করেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার পাঁচলাইশ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি।
এ নিয়ে আলোচনার মধ্যেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংগঠন থেকে পদত্যাগ করার কথা ফেইসবুকে জানান ছাত্রলীগ নেতা রনি।
তার দাবি, রাশেদের সঙ্গে ‘অপ্রীতিকর ঘটনা’ ঘটলেও চাঁদা দাবির অভিযোগ সঠিক নয়। ওই কোচিং সেন্টারে তারও অংশীদারিত্ব রয়েছে এবং এ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
মারধরের ওই ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা রনির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না- সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে ওবায়দুল কাদের বলেন, “দেখুন, কিছু বিব্রতকর ব্যপার ঘটে… এ ব্যাপারে আমাদের অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট। ছাত্রলীগ হোক, আওয়ামী লীগ হোক। অপকর্ম করে কউ পার পেয়ে যেতে পারেনি।”
ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ ঐতিহাসিক নানা মুহূর্তে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখা সাত দশকের পুরনো সংগঠন ছাত্রলীগ সাম্প্রতিক সময়ে সমালোচিত হয়েছে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি আর নিজেদের মধ্যে সংঘাতের নানা ঘটনায়।
আগামী ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের সম্মেলন সামনে রেখে গত সপ্তাহে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মধুর ক্যান্টিনের সামনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা নিজেদের মধ্যে মারামারিতে জড়ালে ছয় নেতাকর্মী আহত হন।
কাদের বলেন, “এখানে শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থানে। কোন অপরাধের শাস্তি হয়নি বলুন? অপরাধ করে পার পেয়ে যায় এই কালচার আওয়ামী লীগে নেই, বিএনপিতে থাকতে পারে।”