বুধবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, “গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়া কোনো বিচারিক রায়ে জেলে যাননি, উনি জেলে আছেন রাজনীতির কারণে। বর্তমান সরকার রাজনীতির প্রতিপক্ষ হিসেবে দেশনেত্রীকে জেলে পাঠিয়েছে।
“আজকে তার চিকিৎসা করতে না দেওয়ার পেছনেও ষড়যন্ত্র আছে। এখন উল্টো তারা বলছে, এ নিয়ে (খালেদা জিয়ার চিকিৎসা) রাজনীতি করবেন না। কত বড় দুঃসাহস! কারা রাজনীতি করছে জনগণ বোঝে।”
প্রতিপক্ষবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার কৌশলের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকার ‘খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করে রেখেছে’ বলেও অভিযোগ করেন আমীর খসরু।
তা হলে দেশে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা পাবে বলে জনগণকে সতর্ক করে তিনি বলেন, “এটা হলে জনগণের আর কিছু থাকবে না।সার্বভৌমত্ব মালিকানা জনগণের কাছ থেকে একটি ব্যক্তি ও দলের কাছে চলে যাবে।”
জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে হলে ‘অবশ্যই আগামী নির্বাচন নির্দলীয় সরকারের’ অধীনে হতে হবে বলে মন্তব্য করেন আমীর খসরু।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আরাফাত রহমান কেকো স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও মহানগর দক্ষিণ সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশারের মুক্তির দাবিতে এই সভা হয়।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুল ইসলাম রাহীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা শামীমুর রহমান শামীম, রফিক শিকদার, ইউনুস মৃধা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।