সামনে সেমি ফাইনাল, জনগণ ভোটের মুডে: কাদের

বিভিন্ন সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচনকে আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে ‘সেমি ফাইনাল’ হিসেবে বর্ণনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এই ভোটের আমেজের মধ্যে বিএনপির আন্দোলন কোনো কাজে আসবে না। 

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 April 2018, 10:29 AM
Updated : 16 April 2018, 10:29 AM

দেশের মানুষ আন্দোলনের মুডে নেই দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন,“মানুষ এখন সিটি নির্বাচনের দিকে জড়িয়ে গেছেন।”

সোমবার দুপুরে ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম দেখতে গিয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ এখন পুরোপুরি নির্বাচনের মুডে। দুটি সিটি করপোরেশনে নির্বাচন হচ্ছে। মানে দুই বিভাগের ভোটাররা এর সঙ্গে জড়িয়ে গেছেন। এরপরে আরও পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন। সেমিফাইনাল চলছে, এখন আর আন্দোলনে কাজ হবে না”

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জোটসঙ্গী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যন এইচ এম এরশাদ রোববার রংপুরে দলীয় এক অনুষ্ঠানে আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলের আসন বাড়ানোর বিষয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সে বিষয়েও সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন ওবায়দুল কাদেরকে।

জবাবে তিনি বলেন, “কে কত আসন পাবে, সেটি বৈঠকে আলাপ-আলোচনা হবে। এসব বিষয় প্রকাশ্যে না বলাই ভালো। জোটের শরিক বলে ইচ্ছা মত আসন চাইবে, এটা হতে পারে না। যেখানে যেখানে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা জয়ী হওয়ার মত, সেখানে অবশ্যই মনোনয়ন পাবেন। আওয়ামী লীগসহ জোটের সবার ক্ষেত্রেই জয়ী হওয়ার মত প্রার্থী ছাড়া কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না।”

আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোট থাকবে কিনা- এ প্রশ্নে কাদের বলেন, “জোট হবে কিনা সেটি এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। বসাবসি শুরু হয়ে যাবে। জেতার মতো প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হবে।আর সরকার গঠনের সময় মন্ত্রী দেওয়া না দেওয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।”

‘যেমন কুকুর তেমন মুগুর’

কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা চার নেতার একজন ইসলামী ‘ছাত্রশিবিরের সক্রিয় কর্মী’ এবং ছাত্রলীগে ‘অনুপ্রবেশকারী শিবির-ছাত্রদল’ কর্মী- একটি পত্রিকায় আসা এমন প্রতিবেদনের বিষয়ে সাংবাদিকরা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।  

ওই চারজনের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, “যেমন কুকুর তেমন মুগুর।”

৪০ গাড়িকে জরিমানা

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিদর্শনের সময় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের রাস্তায় দাঁড়িয়ে বাস, অটোরিকশা এবং মোটরসাইকেল থামিয়ে চালক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ সময় বিকাশ পরিবহনের একটি বাসের যাত্রীরা মন্ত্রীর কাছে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ করেন। তারা বলেন, ওই বাসে সরকার নির্ধারিত ৩২ টাকার ভাড়ার বদলে আদায় করা হচ্ছে ৫০ টাকা করে।

এ সময় মন্ত্রী বাসটি আটকের জন্য বিআরটিএর লোকজনকে নির্দেশ দেন। তবে যাত্রী থাকায় পরে বাসটি ছেড়ে দেওয়া হয়। বিআরটিএর কর্মকর্তারা জানান, তারা বাসের নম্বর রেখেছেন, মালিকের সঙ্গে পরে যোগাযোগ করবেন।

মানিক মিয়া এভিনিউয়ে এ ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাজহারুল ইসলাম বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জানান, তারা ওই সময় পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের ৪০টি গাড়িকে ৭২ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।