নিজের নির্বাচনী এলাকা রংপুরে রোববার দলের এক সমাবেশে একথা বলেন তিনি।
নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগের সমালোচনায় মুখর হওয়া এরশাদ এখনও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের পদে রয়েছেন। তার দলের নেতারাও এখনও রয়েছেন মন্ত্রিত্বে।
গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সামরিক শাসক এরশাদ তার শাসনামলের সঙ্গে বর্তমান সময়ে তুলনা করে বলেন, “নির্বাহী বিভাগ কারও কথা শোনে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা ছাড়া কেউ কাজ করে না, ফাইল নড়ে না। আমরা একদলীয় শাসন চাই না, জনগণের শাসন চাই।”
তিনি বলেন, “আমার শাসনামলে মানুষ নিরাপদে ছিল। খুন হত না। আর এখন খুনের মহোৎসব চলছে। নারী ও শিশু ধর্ষণ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। আমার সময়ে ইয়াবা ছিল না, মাদক ছিল না। উন্নয়ন ছিল। এখন চায়ের দোকানেও মাদক পাওয়া যায়।”
সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগকে হটিয়ে জাতীয় পার্টিই ক্ষমতায় যাবে বলে দাবি করেন এরশাদ।
“কারণ দেশের মানুষ অশান্তিতে আছে, মানুষের শ্বাস বন্ধ হয়ে গেছে, মানুষ মুক্তি চায়। বর্তমান সরকারের জনপ্রিয়তা এখন শুন্য। মানুষ জাতীয় পার্টির জন্য প্রস্তুত।”
রংপুরে দলের অবস্থান মজবুত করতে নেতা-কর্মীদের সক্রিয় হওয়ার তাগিদ দেন এরশাদ।
“রংপুর ছিল জাতীয় পার্টির দুর্গ। এখন নাই, আসন কমে গেছে। সে আসন ফিরিয়ে আনতে হবে। সামনে নির্বাচন। এ নির্বাচন বাঁচা-মরার নির্বাচন। এ নির্বাচনে বৃহত্তর রংপুরের ২২টি আসনে দলীয় প্রার্থীদের নির্বাচত করতে হবে।”
দুপুরে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন এরশাদ। বক্তব্য শেষে তিনি জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হিসেবে স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দলের মিঠাপুকুর উপজেলা সভাপতি এস এম ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীরের নাম ঘোষণা করেন।
রাঙ্গার সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে দলের কো- চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমীন হাওলাদার, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, খালেদ আখতার, রংপুর মহানগর কমিটির সভাপতি ও সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক এস এ ইয়াসির বক্তব্য দেন।