ভিসির বাড়িতে হামলা ও তারেকের ফোনালাপ একসূত্রে গাঁথা: হাছান

কোটা সংস্কারের আন্দোলনের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলার ঘটনা ও বিশ্ববিদ্যালেয়ের বিএনপিপন্থি এক শিক্ষকের সঙ্গে তারেক রহমানের ফোনালাপ একসূত্রে গাঁথা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা হাছান মাহমুদ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 April 2018, 01:55 PM
Updated : 13 April 2018, 01:55 PM

শুক্রবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।

হাছান বলেন, বিএনপি আন্দোলনে বার বার ব্যর্থ হয়ে পরগাছা দলে পরিণত হয়েছে। তেল-গ্যাস আন্দোলনের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে নিজেরা বেঁচে থাকার চেষ্টা করেছিল। এখন আবার কোটাবিরোধী আন্দোলনকে আঁকড়ে ধরে বেঁচে থাকার চেষ্ট করছে।

“ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনে হামলার ঘটনা আর তারেক রহমানের ফোনালাপ একই সূত্রে গাঁথা। তারেক রহমানের টেলিফোন ও আন্দোলন নিয়ে নির্দেশনা ভিসির বাড়িতে হামলার সাথে সংযুক্ত।”

কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ এর ব্যানারে আন্দোলনে থাকা শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা রোববার শাহবাগ মোড় অবরোধ করলে পুলিশ তাদের রাবার বুলেট ও কাঁদুনে গ্যাস ছুড়ে সরিয়ে দেয়।

কিন্তু এরপর সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে পুরো ক্যাম্পাসে।রাত দেড়টা থেকে ২টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা চালিয়ে ভ্যাপক ভাঙচুর করা হয়।

আন্দোলন চলার মধ্যেই বুধবার রাতে লন্ডনে থাকা দলের বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মামুন আহমেদের টেলিফোন আলাপের একটি অডিও ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়ে।

তাতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীদেরকে সমর্থন দিতে বিএনপিপন্থি সাদা দলের শিক্ষকদের সংগঠিত করার কথা তারেককে বলতে শোনা যায়। মামুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক নেতা ও বিএনপির সাংস্কৃতিক ফ্রন্ট জাসাসের সভাপতি।

কবি সুফিয়া কামাল হল ছাত্রলীগ সভাপতির বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাছান বলেন, “কোনো প্রকার তদন্ত ছাড়া একজন ছাত্রীকে মৌখিকভাবে বহিষ্কার মৌলিক অধিকার পরিপন্থি। কোনো তদন্তই করা হয়নি। এটা কোনোভাবেই ঠিক হয়নি।”

সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য নির্ধারিত কোটা প্রধানমন্ত্রী বাতিলের কথা বলার পর মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি সরকার বিবেচনা করবে বলে জানান হাছান।

আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক সামসুন্নাহার চাপা, উপ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, প্রচার উপকমিটির সদস্য আশরাফ সিদ্দিকী বিটু, দপ্তর উপ কমিটির সদস্য খন্দকার তারেক রায়হান এসময় উপস্থিত ছিলেন।