জ্যেষ্ঠদের কাছ থেকে সংসদীয় রীতি শিখতে চান নতুন এমপি

প্রথমবারের মতো সংসদে কথা বললেন দুটি আসনে উপনির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম ও জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 April 2018, 03:06 PM
Updated : 8 April 2018, 03:10 PM

সংগ্রাম বলেন, “আমি এই সংসদের নবীনতম সদস্য। এলাকার সমস্যা তুলে ধরার পাশাপাশি উপস্থিত সকল সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে সংসদীয় রীতিনীতি শিখতে চাই। সংবিধান ও কার্যপ্রণালী বিধি মেনে কাজ করতে চাই।

“আপনারা আমাদের শেখাবেন, আমরা নবীন। আমরাই ভবিষ্যতের ভিত গড়ে তুলব।”

রোববার মাগরিবের নামাজের বিরতির পর নতুন দুই সংসদ সদস্যকে ফ্লোর দেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

প্রথমে কথা বলার সুযোগ পান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর থেকে উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে আসা সংগ্রাম। মন্ত্রী ছায়েদুল হকের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়েছিল।

ছাত্রলীগের এক সময়ের নেতা সংগ্রাম বলেন, “জীবনে প্রথমবার সংসদে কথা বলার সুযোগ পেয়ে আমার রাজনৈতিক জীবন ধন্য।”

নৌকা প্রতীক দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এবং বিজয়ী করার জন্য তার এলাকার ভোটারদের ধন্যবাদ দেন তিনি।

বীরউত্তম খালেদ মোশাররফের ভাগ্নে সংগ্রাম বলেন, “অর্থনৈতিক উন্নয়ন থেকে শুরু করে সব কিছুতে আমরা পাকিস্তান থেকে যোজন-যোজন এগিয়ে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভারত থেকেও এগিয়ে। এই উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বের কারণে।”

শপথ নিচ্ছেন ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম ও শামীম পাটোয়ারী

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে হারিয়ে সংসদে আসা শামীম বলেন, “এই বিরোধী দল এখনও অসংসদীয় কোনো কথা বলেনি। এটা অনন্য অর্জন।”

নিজের নির্বাচনী এলাকার বিষয়ে তিনি বলেন, “সুন্দরগঞ্জ বৈষম্যমূলক উন্নয়নের শিকার। যেকারণে মৌলবাদের উৎপাত। মূলধারার উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ত করা হয়নি। এখানে অতিদরিদ্রের সংখ্যা আশানুরূপ কমেনি।”

গত ১৩ মার্চ সংসদের দুই আসনে উপনির্বাচন হয়।  ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সংগ্রাম ৮৩ হাজার ২৯৬ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন।

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে শামীম হায়দার ৭৮ হাজার ৯২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন।

২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সুন্দরগঞ্জের ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য মনজুরুল ইসলাম লিটন গুলিতে মারা গেলে আসনটি শূন্য হয়।

পরের বছর প্রথম দফা উপ-নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা আহমেদ সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সড়ক দুর্ঘটনায় অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৯ ডিসেম্বর মোস্তফা মারা গেলে আবার এ আসনটি শূন্য হয়।

লিটনের আগেও এ আসনটি জাতীয় পার্টির দখলে ছিল।

ভোটে জয়ী হওয়ার পর গত ২১ মার্চ সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন সংগ্রাম ও শামীম।