দেশ অন্য কেউ চালাচ্ছে, সন্দেহ ফখরুলের

আওয়ামী লীগ নয়, ‘অন্য কেউ দেশ পরিচালনা’ করছে বলে সন্দেহ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 April 2018, 10:18 AM
Updated : 5 April 2018, 11:11 AM

বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে বিএনপি মহাসচিব বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন।

দুইদিন গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে দুপুরে নয়া পল্টনের কার্যালয়ে আসেন মির্জা ফখরুল। গত সোমবার বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

মতবিনিময়ে ফখরুল বলেন, “আমার সন্দেহ মাঝে-মধ্যে আওয়ামী লীগ কী সত্যি দেশ চালাচ্ছে? অ্যাজ এ পলিটিক্যাল আওয়ামী লীগ কী দেশ চালাচ্ছে? না হয় কে চালাচ্ছে?”

“আমার তো মনে হয় কোনো রাজনৈতিক দল দেশ চালাচ্ছে না। অন্য কেউ দেশ চালাচ্ছে। এটাই আমাদের কাছে সন্দেহ হয়। একটা গণতান্ত্রিক দল কখনোই এইভাবে নিজের হাতে তৈরি করা তার সন্তান, যার জন্য সে লড়াই করেছে, যুদ্ধ করেছে.. তারা কেয়ারটেকার সরকারকে জবাই করেছে, গণতন্ত্রকে আরেকবার জবাই করেছে। এটাকে কী বলবে?”

খালেদা জিয়া কারাগারে তার প্রাপ্য ‍সুবিধা পাচ্ছেন না অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “কারাগারে প্রথম ৩/৪ দিন তাকে ডিভিশন দেওয়া হয়নি। তাকে পরিত্যক্ত নির্জন একটা কারাগারে রাখা হয়েছে। সভ্য ও গণতান্ত্রিক দেশে এর নজির আপনি খুঁজে পাবেন না।”

ফখরুল বলেণ, “এখন বর্তমানে তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের নিয়ে যে আচরণটা করা হচ্ছে, এখান থেকে এটা পরিষ্কার এই সরকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সঠিক চিকিৎসাও দিতে চায় না। কারণ একটাই- তারা তাকেই ভয় পায়। তিনি একমাত্র গণতন্ত্র রক্ষা করতে পারেন, এই অটোক্রেসিকে পরাজিত করতে পারেন, জনগণকে একটা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছিয়ে দিতে পারেন।”

২০ দলীয় জোটের ঐক্য অটুট রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ২০ দলীয় জোট তাদের অবস্থানে সঠিক আছে এবং কোনো বিভেদ নেই। তারা সঠিকভাবে কাজ করছে, সব সময় তারা জোটের যে ঘোষিত কর্মসূচি, সেই কর্মসূচিতে আন্তরিকভাবেই করছে।

দুর্নীতি দমন কমিশন ও নির্বাচন কমিশনকে ‘ক্ষমতাহীন’ প্রতিষ্ঠান হিসেবে অভিহিত করেন মির্জা ফখরুল।

সদ্য কারামুক্ত স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “আমার মনে হয়, সরকার খালেদা জিয়াকে বের হতে দেবে না। কারণ আদালতের কিছু করার নেই। আদালত তাদের পুরো নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। তা না হলে রায়ের ৭ দিনের মধ্যে বেগম জিয়া মুক্তি পেতেন।

“সরকার রাজনৈতিক বিবেচনায় উনাকে জেলে রেখেছে। সুতরাং রাজনৈতিকভাবে তাকে আমাদের মুক্ত করতে হবে। আমার মনে হয়, খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে আমাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড সীমাবদ্ধ রাখব না আর। সময় এসেছে, আজকে সরকারের পতন ঘটানোর। সরকারের পতন হলেই খালেদা জিয়া মুক্ত হবে, জনগণ মুক্তি পাবে।”

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে সদ্যকারামুক্ত চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, প্রচার সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানিসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।