আন্দোলন করে খালেদাকে বের করতে পারবেন না: হানিফ

আইনি লড়াইয়ের বাইরে অন্য কোনো উপায়ে খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে বের করার পথ না খুঁজতে বিএনপি নেতাদের হুঁশিয়ার করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা মাহাবুব-উল আলম হানিফ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 April 2018, 05:46 PM
Updated : 4 April 2018, 05:46 PM

তিনি বলেছেন, “বিএনপির এক শীর্ষ পর্যায়ের নেতা বলেছেন, খালেদা জিয়াকে আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করতে হবে।

“আন্দোলন করে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা যাবে না। যারা এমন দিবা স্বপ্ন দেখছেন, হুমকি দিচ্ছেন, তাদের স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আইনি লড়াই ছাড়া খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার দ্বিতীয় কোনো পথ নেই।”

জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়াকে জামিন না পেলে রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করার কথা বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ।

তিনি বুধবার দুপুরে এক আলোচনা সভায় বলেন, “বেগম জিয়ার মুক্তির জন্য আমরা আইনি লড়াই চালিয়ে যাব। তার সাথে সাথে তার মুক্তি নিশ্চিত করবে রাজপথে গণআন্দোলন। সেজন্য আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি বাংলাদেশের মানুষ নিশ্চিত করবে রাজপথেই, আদালতে যদি না পারে।”

এরপর বিকালে ঢাকার গুলিস্তানে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জাতীয় শ্রমিক লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আয়োজিত এক সভায় হুঁশিয়ারি দেন হানিফ।

তিনি বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, “আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কোনো সুযোগ নেই। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমেই আপনাদের যেতে হবে।”

বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের ৮ নেতার ‘সন্দেহজনক’ ১২৫ কোটি টাকা ব্যাংক লেনদেনের যে তদন্ত শুরু করেছে দুদক, ওই অর্থ কোনো ষড়যন্ত্রে ব্যবহৃত হচ্ছিল কি না, তা দেখতে সরকারকে আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিফ।

“এক সঙ্গে ১২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়েছে কোন ষড়যন্ত্রের কারণে, এটা খুঁজে দেখার দায়িত্ব সরকারের আছে।”

এই তদন্ত নিয়ে বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনের বছর ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানির লক্ষ্যে’ দুদককে দিয়ে এই কাজ করাচ্ছে সরকার।

হানিফ বলেন, “দুদকের এই তদন্তে তাদের (বিএনপির) মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা বলছে সরকার দুদক দিয়ে বিএনপি নেতাদের চরিত্র হনন করছে। যার চরিত্র বলে কিছুই নেই, সেই মওদুদ সাহেব বলেছে এই কথা।

“আসলে বিএনপি নামের দলটির চরিত্র তো বহু আগেই হারিয়ে ফেলেছে। বাংলাদেশের মানুষকে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তকর তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার সুযোগ নেই।”

জাতীয় শ্রমিক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি সামসুল আলম বকুলের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, জাতীয় শ্রমিক লীগর সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম।