বিএনপি নেতাদের লেনদেন তদন্তে সরকারের হস্তক্ষেপ নেই: কাদের

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কোনো কাজে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপে নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 April 2018, 10:38 AM
Updated : 4 April 2018, 10:38 AM

মুবিজনগর দিবস পালন উপলক্ষে বুধবার আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন তিনি।

সম্প্রতি দুদক বিএনপির শীর্ষ আট নেতার ‘সন্দেহজনক’ ব্যাংক লেনদেন অনুসন্ধানে নামায় দলটির নেতাদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের বলেন, “দুদক একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান, স্বাধীনভাবে কাজ করছে। অতীতে কোনো সরকারের সময় রাষ্ট্রীয় কোনো প্রতিষ্ঠান স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেনি।

“আমাদের একজন এমপিকেও দুদক তলব করেছে। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী দুদকের মামলায় হাজিরা দিচ্ছেন। সরকার তো কোনো হস্তক্ষেপ করেনি। বিএনপির ৮ নেতাকে দুদক তলব করল আর অভিযোগ করা হচ্ছে সরকারের হস্তক্ষেপ আছে। আসলে বিএনপি কথায় কথায় সরকারের হস্তক্ষেপ আবিষ্কার করে।”

ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে প্রিয়াঙ্কা কমিউনিটি সেন্টারে এই যৌথসভা হয়। 

দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার আগে-পরে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের আট নেতার ‘সন্দেহজনক ১২৫ কোটি’ লেনদেনের খবর পেয়ে সোমবার তা অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুর্নীতি দমন কমিশন, যে খবর গণমাধ্যমে আসে।

এ খবরে বিস্ময় প্রকাশ করে বিএনপি নেতারা বলেছেন, এটা সরকারের একটা নীল নকশা; মিথ্যা প্রচার, অবান্তর ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “তাদের ব্যাংক হিসাবে ১২৫ কোটি টাকা লেনদেনের জন্য বিএনপির ৮ নেতাকে দুদক তলব করেছে। খালেদা জিয়ার দুদকের মামলায় সাজা হয়েছে। তাদের অভিযোগ- সরকার হস্তক্ষেপ করেছে। সরকার কেন হস্তক্ষেপ করবে? আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদেরও দুদক তলব করছে। সরকার হস্তপেক্ষ করলে তো তাদেরকে দুদক তলব করতে পারত না।”

বিএনপিকে আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ দল আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিএনপি তো এখন আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ দল। হঠাৎ করে দলের গঠনতন্ত্র থেকে ৭ ধারা বাদ দিয়েছে। এতে বলা ছিল দুনীতির দায়ে দণ্ডিতরা দলের নেতা হতে পারবেন না। এটা বাদ দিয়ে এখন দলটি আত্মস্বীকৃত দুনীতিবাজ দলে পরিণত হয়েছে।”

যৌথসভায় ওবায়দুল কাদের ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালন এবং মুজিবনগরের কর্মসূচিতে বিপুল জনসমাগম ঘটাতে সংশ্লিষ্ট জেলার নেতাদের নির্দেশ দেন।

এছাড়া বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে উৎসবমুখর কর্মসূচি নেওয়ারও ঘোষণা দেন। কেন্দ্রীয়ভাবে উদযাপনের পাশাপাশি জেলা, উপজেলা পর্যায়ে কর্মসূচি নেওয়ার আহ্বান জানান।

যৌথ সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, মতিয়া চৌধুরী, সাহারা খাতুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এনামুল হক শামীম, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা এবং মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার নেতারা।