স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শনিবার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) একাংশের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল একথা বলেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধ তোফায়েল আহমদ বলেন, “১৯৭১ সনে যারা ৭ম নৌবহর পাঠিয়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল, স্বাধীনতার পরে যারা রাগে-ক্ষোভে এদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলে আক্রোশ মিটিয়েছিল, আমাদের দেশকে পিছিয়ে দিতে তাদের ষড়যন্ত্র এখনও চলছে।”
মুক্তিযুদ্ধের শেষ দিকে বাংলাদেশের বিজয় যখন প্রায় নিশ্চিত তখনই পাকিস্তানের পক্ষে সপ্তম নৌবহর পাঠানোর হুমকি দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের পাল্টা হুমকিতে বঙ্গোপসাগরে আর নৌবহর পাঠায় নাই যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের সপ্তম নৌবহরের ঘাঁটি জাপানের ইওকোসুকা। এটি মার্কিন নৌবাহিনীর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ সবচেয়ে বড় নৌবহর; বহরে ৫০ থেকে ৭০টি জাহাজ ও সাবমেরিন আছে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিকালে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম নিয়ে বলেন, ”আন্দোলনের নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু আর প্রাণকেন্দ্রে ছিল ছাত্রলীগ ও স্বাধীন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ।”
’৬৯র গণঅভ্যুত্থানের পেছনে আবদুর রউফ, খালেদ মোহাম্মদ আলী, শামসুদ্দোহা, সাইফুদ্দীন মানিক, নাজিম কামরান চৌধুরী, মোস্তফা জামাল হায়দার, মাহবুবুল্লাহ, ইব্রাহীম খলিলের অবদানের কথাও স্মরণ করেন তোফায়েল আহমদ।
তিনি বলেন, ”এ মার্চ যেমন আমাদেরকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছে, তেমনি এ মার্চ মাসেই আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছি।”
জাসদের একাংশের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়ার সভাপতিত্বে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারওয়ার আলী, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য কামরুল আহসান, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক নজরুল মজিদ বেলাল এবং জাসদের স্থায়ী কমিটি সদস্য মুশতাক হোসেন ও মোহাম্মদ খালেদ আলোচনায় অংশ নেন।