বিকালে ঢাকা থেকে সড়কপথে বিএনপি মহাসচিব প্রথমে মিলনের গ্রামের বাড়ি পূবাইলের মাজুখানে আসেন।
সেখানে ছেলে মিলনের শোকে কাতর বৃদ্ধ মা হোসনে আরা এবং স্ত্রী শাহনাজ তানিয়া আখতারকে সান্ত্বনা জানান তিনি।
মিলনের দুই ছোট শিশুকন্যাও কান্নায় ভেঙে পড়লে ফখরুল নিজেও অশ্রু সংবরণ করতে পারেননি।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদানও পরিবারের সদস্যদের কাছে তুলে দেন ফখরুল।
পরে বিএনপি মহাসচিব মিলনের কবর জিয়ারত করেন এবং কবরে দলের কারাবন্দি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে ফুল দেন।
এ সময় দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, নির্বাহী কমিটির সদস্য সাঈদ সোরাপ, জেলা সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইয়্যেদুল ইসলাম বাবুল, স্থানীয় কমিশনার সুলতান উদ্দিন চেয়ারম্যান, ছাত্রদলের সাজ্জাদ হোসেন রুবেল, নুরুল ইসলাম নুরুসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা ছিলেন।
গত ৬ মার্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপির মানববন্ধন থেকে গোয়েন্দা পুলিশ মিলনকে আটক করে। তিনদিন রিমান্ড শেষে রোববার কারাগারে নেওয়ার পর অসুস্থ হন মিলন।
সোমবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিএনপিসহ পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, পুলিশের নির্যাতনেই মিলনের মৃত্যু হয়েছে।
মিলনের মৃত্যুর ঘটনাকে ‘সরকারের চরম নির্মমতা’ হিসেবে অভিহিত করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘‘মিলনের শহীদ হওয়ার ঘটনা গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অনুপ্রেরণার একটি নাম। তার পরিবার আজকে এক নিদারুন অবস্থার মধ্যে দিনযাপন করছেন। আমি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহমর্মিতা জানাতে এখানে এসেছি। আমরা সবসময় মিলনের পরিবারের পাশে থাকব।”