সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে বলে পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই বাচ্চু মিয়া জানিয়েছেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, সকালে জাকির কারাগারে বুকে ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে আনা হয়।
তার বয়স হয়েছিল ৩৮ বছর।
এদিকে ‘রিমান্ডে’ নির্মম নির্যাতনের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ায় জাকিরের মৃত্যু হয়েছে বলে তার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেছেন।
গত ৬ মার্চ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে সাদা পোষাকের পুলিশ জাকিরকে আটক করে। তাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটক দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে শাহবাগ থানায় তিন দিনের রিমান্ডে নেয় গোয়েন্দা পুলিশ।
রোববার রিমান্ড শেষে জাকিরকে পুলিশ আদালতে হাজির করলে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
জাকিরের চাচা অলিউল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পুলিশি নির্যাতনে জাকিরের মৃত্যু হয়েছে।
তেঁজগাও কলেজের ছাত্র জাকির হোসেন ঢাকা মহানগর উত্তরেরও সহসভাপতি ছিলেন।
তার বাড়ি শরীয়তপুর জেলার সখিপুরে। গাজীপুরের টঙ্গির মাজুখানে থাকেন তিনি। দুই কন্যা সন্তানের জনক জাকির। চার ভাই বোনের মধ্যে সে জ্যেষ্ঠ।
এদিকে ছাত্র দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুনুর রশীদ মামুন ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ এক যৌথ বিবৃতিতে ‘রিমান্ডে পুলিশি নিমর্ম নির্যাতনে’ গুরুতর অসুস্থ হয়ে কারাগারে গেলে জাকির হোসেনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন।
জাকির হোসেনকে যারা মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে তাদের গ্রেপ্তার দাবি করেন নেতৃবৃন্দ।
ছাত্র দল নেতার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনাও জানান তারা।