উপ-নির্বাচনে কেন্দ্র দখলের শঙ্কায় জাপা

গাইবান্ধা-১ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের উপ-নির্বাচনে কেন্দ্র দখলের শঙ্কা প্রকাশ করেছে সংসদে প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 March 2018, 04:01 PM
Updated : 11 March 2018, 04:01 PM

তবে নির্বাচন কমিশন বলছে, ভোট নিয়ে শঙ্কার কোনো কারণ নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসির নগর) আসনে উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হবে।

আওয়ামী লীগের দুই সংসদ সদস্য মন্ত্রী ছায়েদুল হকের মৃত্যুতে নাসির নগরে এবং গোলাম মোস্তফার মৃত্যুতে সুন্দরগঞ্জে এই উপ-নির্বাচন হচ্ছে।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মাঠে রয়েছে। সোমবার কেন্দ্রে কেন্দ্রে নির্বাচনী সামগ্রী পৌঁছে যাবে।

এ দুই উপ-নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বিএনপি এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না।

ভোটকে সামনে রোববার সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে দেখা করে শঙ্কার কথা জানায় জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি দল। ঝুঁকিপূর্ণ ২৮টি কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা।

সিইসির সঙ্গে বৈঠকের জাতীয় পার্টির মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমীন হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, “(ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে) আমাদের শঙ্কা নিয়ে লিখিত চিঠি দিয়েছি। গতকাল শুনেছি- সুন্দরগঞ্জের বাইরের অনেক লোক নির্বাচনী এলাকায় ঢুকেছে এবং তারা কেন্দ্র দখল করবে।

“এর আগে নির্বাচনগুলোতেও তারা এগুলো করে ব্যবধান রেখে জয়যুক্ত হয়েছে। সেই জন্য আমরা আশঙ্কা করছি যে, এই এক্সারসাইজটা তাদের জানা আছে,  করতে পারে। ”

এই দুটি আসনে উপ-নির্বাচনের উপর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গতি-প্রকৃতি নির্ভর করবে বলে মনে করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব। 

“এ ইসির অধীনে রংপুর, কুমিল্লায় ভালো ভোটের দৃষ্টান্ত রয়েছে। এখানে পরিস্থিতির অবনতি হলে এর প্রভাব জাতীয় নির্বাচনে পড়বে।”

ইসিতে দেওয়ার জাতীয় পার্টির চিঠিতে দুই আসনের ১৪টি করে মোট ২৮টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে সেগুলোর দিকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ নজর রাখার অনুরোধ জানানো হয়।

এদিকে জাতীয় পার্টির শঙ্কার বিষয়ে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ সাংবাদিকদের বলেন, “যারা নির্বাচনে অংশ নেন তাদের মধ্যে সবসময় একটি আশঙ্কা থাকে। আমরা কোনো আশঙ্কা করছি না। এ নির্বাচনে আমাদের যত ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার সব নেওয়া হয়েছে। সেখানে কেন্দ্র দখলের মতো পরিস্থিতি নেই।”

দুই নির্বাচনী এলাকায় সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের সফরের কথা তুলে ধরে ইসি সচিব বলেন, স্থানীয়ভাবে কোনো রকম অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

“আমাদের কাছে এই ধরনের কোনো তথ্য নেই। কিন্তু  জাতীয় পার্টি অভিযোগ করেছে, তাই বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”