বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “সংঘাতপ্রবণ রাজনীতি সৃষ্টি করে দেশকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দিতে চায় বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার। সেই কারণেই তারা অন্যায়ভাবে দেশনেত্রীকে সাজা দিয়ে বন্দি করে একটা হীন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নানা কারসাজি করতে একের পর এক নাটকীয়তা করে যাচ্ছে।
“আমরা বলতে চাই, তাদের কোনো কারসাজিই ধোপে ঠিকবে না। সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের মন্ত্রীরা যতই আবোল-তাবোল বকুক না কেন, খালেদা জিয়াবিহীন নির্বাচনের নীলনকশা প্রতিরোধ করতে জনগণ এখন বদ্ধপরিকর।”
রিজভী অভিযোগ করে বলেন, “দেশে এখন গণতন্ত্রের শূন্যতার কারণে ক্ষমতার ভারসাম্য বলে কিছু নেই। একজনের ক্ষমতাই সর্বব্যাপী। আইন, বিচার ও আদালত সর্বত্রই শেখ হাসিনার ছায়া শাসনের আওতাভুক্ত।
“আগামী সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে আওয়ামী লীগের ব্যাপক ভরাডুবি হবে ভেবেই দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সাজা প্রদান করা হয়েছে। এভাবে আওয়ামী সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে দমন করার জন্যই অকাতরে মামলার মধ্যে জড়িয়ে এখন সাজা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।”
‘সরকারের সব চক্রান্ত’ জনগণ প্রতিরোধ করে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবে বলে বলে জানান তিনি।
নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবুল খায়ের ভুঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।