‘ভারাক্রান্ত হৃদয়ে’ শহীদ মিনারে বিএনপি

সরকার সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে, মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Feb 2018, 07:22 AM
Updated : 21 Feb 2018, 11:18 AM

বুধবার সকালে প্রভাত ফেরী করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের এসে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর সাংবাদিকদের কাছে বিএনপি মহাসচিব এ অভিযোগ করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, “দুর্ভাগ্য আমাদের, আজকে এমন এক সময় এই দিবস আমাদের পালন করতে হচ্ছে, যখন গণতন্ত্রের কবর রচনা করা হয়েছে। যখন গণতান্ত্রিক সমস্ত রীতিনীতি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে, মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে, ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে; জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে সংসদ পর্য়ন্ত দলীয়করণ করা হয়েছে।

“আজকের এদিনে আমরা যখন এই কথাগুলো বলছি, তখন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যিনি গণতন্ত্রের জন্য চিরকাল সংগ্রাম করেছেন, লড়াই করেছেন। তারা (সরকার) তাকে একটা মিথ্যা মামলায় কারাগারে দিনযাপন করাচ্ছে। এদিনে অত্যন্ত মর্মাহত হয়ে, দুঃখের সঙ্গে ভরাক্রান্ত হৃদয়ে ক্ষোভের সঙ্গে এর প্রতিপালন করছি।”

বিএনপি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে একুশের প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা জানালেও দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে থাকায় এবার দলের তা না করে সকালে মহাসচিবের নেতৃত্বে প্রভাতফেরী করে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়েছে দলটি।

মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও দলের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি।”

বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা দিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় নেতারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদীতে এসে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন; তারা কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এর আগে সকাল ৮টার দিকে বলাকা সিনেমা হলের কাছে মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা প্রথমে আজিমপুর কবরস্থানে গিয়ে ভাষা শহীদদের কবরে ফাতেহা পাঠ করে মোনাজাত করেন মহাসচিবসহ নেতৃবৃন্দ।

এরপর কয়েক হাজার নেতা-কর্মীকে নিয়ে প্রভাত ফেরী করে শহীদ মিনারে যান।

এই সময়ে মহাসচিব ফখরুল ও খন্দকার মোশাররফ ছাড়াও দলের ভাইস চেয়ারম্যান ইনাম আহমেদ চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, আবদুস সালাম, সিরাজউদ্দিন আহমেদ, ফরহাদ হালিম ডোনার, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সাহাদাত হোসেন জীবন, কামরুজ্জামান রতন, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, রাশেদা বেগম হীরা, মীর সরফত আলী সপু, ওবায়দুল ইসলাম, আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, আবদুল বারী ড্যানী, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, নেওয়াজ হলিমা আরলি, শহীদুল ইসলাম বাবুল, আবদুল আউয়াল খান, হারুনুর রশীদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, আমিরুল ইসলাম আলিম, আমিরুজ্জামান শিমুল, তাবিথ আউয়াল, খন্দকার মারুফ হোসেন, রফিক শিকদার।

অঙ্গসংগঠনের মধ্যে মহানগরের মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, কাজী আবুল বাশার, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, শ্রমিক দলের আনোয়ার হোসেইন, যুব দলের মোমতাজুল করীম বাদরু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, হেলেন জেরিন খান, জাসাসের মামুন আহমেদ, হেলাল খান, শায়রুল কবির খান, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, উলামা দলের হাফেজ আবদুল মালেক, শাহ নেসারুল হক, ছাত্র দলের মামুনুর রশীদ মামুন ও আসাদুজ্জামান আসাদ উপস্থিত ছিলেন।