উসকানির ফাঁদে পা দেবে না বিএনপি: মোশাররফ

সরকারের কোনো ‘উসকানির ফাঁদে’ পা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Feb 2018, 09:40 AM
Updated : 19 Feb 2018, 09:41 AM

সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘‘ আমাদের নেত্রী জেলে যাওয়ার আগে স্থায়ী কমিটি ও নির্বাহী কমিটির বৈঠকে পরিষ্কার নির্দেশ দিয়ে গেছেন, আমরা শান্তিপূর্ণ ও নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন করব, তার মুক্তির জন্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ করার জন্যে, লেভেল প্ল্যায়িং ফিল্ড করতে একটি নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার আদায় করার জন্য।

“এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার যত ধরনের উসকানি দিক না কেনো, যত ধরনের ফাঁদ তারা দিক না কেন, আমরা তাদের কোনো ফাঁদে পা দেব না। আমরা তাদের উসকানিতে উত্তেজিত হব না।”

খালেদা জিয়ার কারাবন্দি হওয়ার পর শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কর্মসূচি নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যকে সংঘাতের উসকানি হিসেবে দেখছেন বিএনপি নেতারা। 

মোশাররফ দাবি করেন, কারাবন্দি হওয়ার পর খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা বেড়েছে।

“এই যে অন্যায়ভাবে আমাদের নেত্রীকে সাজা দেওয়া হলো, জেলে নেওয়া হলো। সেজন্যই দেশনেত্রীর প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন বৃদ্ধি পেয়েছে, তার প্রতি সহানুভূতি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা এতদিন দেশনেত্রী বলতাম, এখন দেশের মানুষ তাকে নেত্রী বলে না, দেশমাতা বলে। তিনি দেশনেত্রী থেকে দেশমাতায় পরিণত হয়েছেন।”

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে মোশাররফ বলেন, “আমাদের ৮/১০ দিনের কর্মসূচিতে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে, আমরা দলীয়ভাবে আরও শক্তিশালী হয়েছি, ঐক্যবদ্ধ হয়েছি।”

বিএনপি কী ধরনের কর্মসূচি দেবে, তা একান্ত বিএনপির বিষয়  বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদককে মনে করিয়ে দেন তিনি।

“আমি বলতে চাই, অবশ্যই বেগম জিয়াকে সঙ্গে নিয়েই আমরা ভবিষ্যতে নির্বাচনে যাবার চিন্তা করছি। বিএনপি কী করবে ভবিষ্যতে? বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও আগামী সংসদ নির্বাচনের ব্যাপারে বিএনপির সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা আমাদের আছে।”

স্বাধীনতা ফোরাম আয়োজিত এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ। সহসভাপতি ইশতিয়াক আজিজ বাবুলের পরিচালনায় এই আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য্ অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাতীয় দলের সভাপতি সৈয়দ এহসানুল হুদা, এলডিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব সাহাদাত হোসেন সেলিম, কল্যাণ পার্টির সহসভাপতি শাহিদুর রহমান তামান্না, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।