তিনি বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন আইনের ‘ন্যুনতম সুযোগ-সুবিধা’ও পাচ্ছেন না।
সোমবার সকালে ঢাকায় এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে ফখরুল বলেন, “পাঁচ দিনের মধ্যে বিচারের রায়ের কপি দেওয়ার কথা, সেটা এখন পর্যন্ত তারা দেয়নি। তাকে একটি নির্জন কারাগারে অন্ধ প্রকোষ্ঠে রাখা হয়েছে, যা কোনোমতেই এই স্বাধীন দেশের আইনের মধ্যে পড়ে না।
“সরকার দেশনেত্রীকে অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়ার পর এখন আইনের ন্যূনতম যে সুযোগ-সুবিধা আছে, সেগুলোও পালন করছে না।”
জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় আদালত খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়ার পর নাজিমউদ্দিন সড়কের পুরনো কারাগারে বন্দি রয়েছেন তিনি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কারাগারে ‘ডিভিশন’ পাওয়ার পাশাপাশি নিজের গৃহকর্মীকেও সঙ্গে রেখেছেন খালেদা জিয়া, যে সুবিধা কখনও কেউ পায়নি।
রায়ের সত্যায়িত অনুলিপি না পাওয়ার জন্য বিএনপিকেই দায়ী করেছেন মন্ত্রী কামরুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, বিএনপি রায়ের অনুলিপি বিচারকের কাছে চাইতেই দেরি করেছে।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের মানববন্ধনে বক্তব্যে ফখরুল সরকারের সমালোচনা করেন।
নেত্রীর মুক্তির আ্ন্দোলনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “দেশ এবং খালেদা জিয়া, গণতন্ত্র এবং খালেদা জিয়া- এই দুটি আজ একাকার হয়ে গেছে। তাই দেশনেত্রীকে আমাদের সমস্ত শক্তি দিয়ে, জনগণের শক্তি দিয়ে মুক্ত করে আনতে হবে। আসুন তার মুক্তির দাবিতে আমরা সোচ্চার হই।”
খালেদা জিয়াকে ‘ভয় পায়’ বলেই সরকার আগামী নির্বাচনে ‘নীল নকশা’ বাস্তবায়ন করত তাকে ‘মিথ্যা মামলায় সাজা’ দিয়ে কারাবন্দি করেছে বলে দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, “আজ ব্যাংক ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে পড়ছে। শেয়ার মার্কেট ধ্বংস হয়ে গেছে। কোথাও কোনো বিচার নেই, সেগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা হয় না। আজকে দেশে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে তাদের কোনো বিচার হয় না। কারণ এর সাথে সরকার জড়িত রয়েছে।”
এ থেকে উত্তরণে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সবাইকে সক্রিয় হতে আহ্বান জানান ফখরুল।
মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের পরিচালনায় মানববন্ধনে মহিলা দলের রাশেদা বেগম হীরা, হেলেন জেরিন খান, নিলোফার চৌধুরী মনি, শাম্মী আখতার, হালিমা নেওয়াজ আরলী, ইয়াসমীন আরা হক, আমেনা খাতুন, শামসুন্নাহার ভুঁইয়া বক্তব্য রাখেন।