খালেদার মুক্তির দাবিতে নয়া পল্টনে বিএনপির অবস্থান

দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে বসেছে তার দল বিএনপি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Feb 2018, 05:28 AM
Updated : 13 Feb 2018, 11:34 AM

অনুমতি নিয়ে পুলিশের ‘গড়িমসিতে’ দুই দফা স্থান পরিবর্তনের পর মঙ্গলবার বেলা ১১টা  থেকে বিএনপি কার্যালয়ের সামনেই এক ঘণ্টার এ কর্মসূচি শুরু হয়।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের বাবুল,  আবদুস সালাম, ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন এবং জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত আছেন এ কর্মসূচিতে।

ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত হয়েছেন এ অবস্থান কর্মসূচিতে। ২০ দলীয় জোটের বিভিন্ন দলের নেতাদেরও সেখানে দেখা গেছে।

নয়া পল্টনে দলের কার্যালয়ের সামনের সড়কে ব্যানার হাতে দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

আগের দিন সোমবার একই সময়ে একই দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে বিএনপি।

জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদে তাদের এই কর্মসূচি।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি ওই রায়ের পর বিএনপি শুক্র ও শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। এরপর শনিবার ঢাকাসহ সারাদেশে তিনদিনের টানা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা থাকলেও সোমবার রাতে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঢাকা মহানগর পুলিশ রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটটিউশন মিলনায়তনে অবস্থান কর্মসূচির অনুমতি দিয়েছে।

কিন্তু মঙ্গলবার সকালে আবারও স্থান বদলের কথা জানিয়ে রিজভী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,

“রাতে পুলিশ বলেছিল আমাদের ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন প্রাঙ্গণে অনুমতি দিয়েছে, কিন্তু সেই চিঠি না আসায় সেখানকার কর্তৃপক্ষ কিছু বলতে পারছে না। ফলে নয়া পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই আমরা অবস্থান কর্মসূচি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

বিএনপির কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকেই কার্যালয়ে সামনে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জলকামানের গাড়িসহ পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার বেশ কিছু গাড়ি কাছাকাছি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।