জামানত বাড়ালে নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা, ‘ভাববে’ সিপিবি

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জামানত বাড়ালে তাতে অংশ নেওয়ার আগে সিপিবিকে ভেবে দেখতে হবে বলে নির্বাচন কমিশনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাম এ দলের সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Feb 2018, 02:14 PM
Updated : 5 Feb 2018, 02:14 PM

সোমবার পুরানা পল্টনের মুক্তিভবনে পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির দু’দিনব্যাপী সভার শেষ দিন তার এ বক্তব্য আসে।

সেলিম বলেন, সিপিবি, বাসদ ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার জামানত না বাড়ানোর আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন এখন জামানতের পরিমাণ ২০ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা করে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের খসড়া তৈরি করেছে বলে সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে।

“আমরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলছি, জামানতসহ অন্যান্য আর্থিক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে যোগ্য কিন্তু আর্থিকভাবে অসচ্ছল রাজনৈতিক কর্মীদের নির্বাচনে প্রার্থী হতে বাধা সৃষ্টি করলে সিপিবি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে কি-না ভেবে দেখবে।”

সেলিম বলেন, ইসির সঙ্গে আলোচনায় তিন বাম দলের পক্ষ থেকে জামানতের পরিমাণ ২০ হাজার থেকে কমিয়ে ৫ হাজার টাকা করা, ভোটার তালিকার সিডি কেনার বাধ্যবাধকতা না রাখা, করারোপযোগ্য আয়ের নিচের প্রার্থীদের জন্য টিআইএন সনদ বাধ্যতামূলক না করা, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনলাইনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করাসহ ১৮ দফা সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছিল।

“লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড মানে আওয়ামী লীগ, বিএনপিকে সমান সুযোগ প্রদান নয়। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তখনই নিশ্চিত হবে যখন সকল ভোটারদের ভোটে দাঁড়ানোর এবং ভোট দানের অধিকার সুনিশ্চিত হবে। কৃত্রিম প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণকে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া থেকে বঞ্চিত করে নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড রচিত হবে না।”

সিপিবি সভাপতি বলেন, সরকার ১০ টাকা কেজিতে চাল দেয়ার অঙ্গীকার করে এখন বলছে- দাম কেজি প্রতি ৪০ টাকা হওয়া উচিত।

“যোগাযোগ ব্যবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। লুট, দুর্নীতি আর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণকে সর্বস্বান্ত করে নিজেদের রক্ষার জন্য ৫৭ ধারার পরিবর্তে আরও অগণতান্ত্রিক, সংবিধান পরিপন্থি, তথ্য অধিকার আইনবিরোধী নতুন কালা কানুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের উদ্যোগী হয়েছে। দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী, আমলাদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য এটি এক ধরনের ‘ইনডেমনিটি’।”

সিপিবি সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম সভায় কেন্দ্রীয় কমিটির গত এক বছরের পর্যালোচনা উত্থাপন করেন।