সরকারের ইন্ধনে এই মামলার বিচার কাজ দ্রুত শেষ হওয়ার অভিযোগ করে দলটি বলছে, বিএনপিকে আবারও জাতীয় নির্বাচনের বাইরে রাখার ‘ষড়যন্ত্রের’ অংশ হিসেবে এখন মামলাটির রায় ঘোষণা হচ্ছে।
শনিবার রাতে খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় ওই সন্দেহ প্রকাশের পরদিন রোববার বিকালে নির্বাচন ভবনে যান দলটির জ্যেষ্ঠ তিন নেতা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ ও খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে বৈঠক করেন।
পরে নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, “বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায়। সেই অংশগ্রহণের পথে বাধা সৃষ্টি করার চক্রান্ত বা অপচেষ্টা আমরা দেখছি। সে রকম কোনো কিছু হলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের যে আকাঙ্ক্ষা, যে প্রয়োজন সেটা বিঘ্নিত হবে।
“আমরা জানি এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের করার কিছু নাই। সম্ভবত দোয়া করা ছাড়া কিছু করার নাই। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করতে পারে এ রকম কিছু যেন না হয় সে ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা আমরা কমিশনকে জানিয়েছি।”
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে। ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা আত্মসাতের এই মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া দোষী প্রমাণিত হলে তার সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। তাহলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অযোগ্য হয়ে পড়বেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
বৈঠকে আলোচনায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার সব দলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, “অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় ইসি। এখনও তারা সে বিষয়ে আগ্রহী। তবে সময়ই সব বলে দেবে।
“আমরা আশা করি, নির্বাচন যেন অংশগ্রহণমূলক হয় সে ব্যাপারে নৈতিক অবস্থান থেকে নির্বাচন কমিশন ভূমিকা নেবে।”
নজরুল ইসলাম খান জানান, আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বৈঠক রয়েছে। এ উপলক্ষে বিএনপির কাউন্সিলের নানা সিদ্ধান্ত ও গঠনতন্ত্র সংশোধন বিষয়ে কিছু তথ্য নির্বাচন কমিশনকে জানাতে আসেন তারা।