ব্যাংক আইন সংশোধনের বিরোধিতা বামদের

ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদে একসঙ্গে এক পরিবারের চার সদস্য থাকলে আমানতকারীদের আমানত ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বলে আশঙ্কা করছে বাম দলগুলো।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Jan 2018, 06:17 PM
Updated : 18 Jan 2018, 06:17 PM

সরকারি দল নির্বাচনী বছরে ‘তহবিল গঠনের’ জন্য ব্যাংক মালিকদের কাছ থেকে ‘ঘুষ’ নিয়ে ব্যাংক কোম্পানি আইনে এমন পরিবর্তন এনেছে বলেও বাম নেতারা অভিযোগ তুলেছেন।

ব্যাংক কোম্পানি আইন সংশোধনের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সমাবেশ করে সিপিবি-বাসদ ও গণতান্ত্রিক বামমোর্চা।

সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, “এই ব্যাংক লুটেরা ও দুর্বৃত্তদের যেটুকু দখলদারিত্ব বাকি ছিল, নতুন ব্যাংক কোম্পানি আইন পাস করার মধ্য দিয়ে সেই দখলদারিত্বকে নিরঙ্কুশ করা হয়েছে। লুটপাটকে এখন আইনি বৈধতা দেওয়া হল।

“এর মাধ্যমে সমস্ত ব্যাংকিং খাততে একটি অব্যবস্থাপনা, নৈরাজ্যে ও বিশৃঙ্খলার মধ্যে ঠেলে দিয়েছে।”

তিনি বলেন, “এক পরিবারের চারজন সদস্য পরিচালনা পর্ষদে থাকলে লক্ষ লক্ষ আমানতকারীর আমানতের কোনো নিরাপত্তা থাকল না। এই আমানত চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।”

সাইফুল হক বলেন, “এই বছর নির্বাচনের বছর, একটা আখেরি লুটপাটের ব্যবস্থা করার জন্য, মানুষের আমানতকে খেয়ানত করার জন্য যেটুকু বাকি ছিল তা এই আইন সংশোধনের মাধ্যমে তা করেছে।”

সিপিবির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সাবেক ব্যাংকার কাফি রতন বলেন, “পাকিস্তান আমলে ব্যাংকের মালিকানা ছিল পরিবারকেন্দ্রিক। ১৯৭২ সালে পরিবারের হাত থেকে উদ্ধার করে ব্যাংক খাতকে জাতীয়করণ করা হয়। সেই ব্যাংকিং খাতকে আবার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “তারা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তাদের দলের তহবিল গড়ার জন্য ব্যাংক মালিকদের কাছ থেকে ঘুষ নিয়ে তাদের আবদার রাখছে।”

কিছু ব্যাংক মালিকের পরিচালকের মেয়াদ শেষ হলেই আইনে এই ধরনের সংশোধনী আসে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

সিপিবির সহ সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দনের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যর মধ্যে বাসদ ঢাকা মহানগর কমিটির সদস্য সচিব জুলফিকার আলী, বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা মানস নন্দী, গণসংহতি আন্দোলনের নেতা জুলহাস নাঈন বাবু বক্তব্য দেন।