পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সভায় বক্তব্যে প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও পুলিশ কর্মকর্তাদের ন্যায়নীতির মধ্যে থেকে সাহসের পরিচয় দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সরকারের এই মন্ত্রী।
দৃশ্যত পুলিশে নিয়োগে রাজনীতিক-কর্মকর্তাদের ‘ভাগাভাগিকে’ ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “পুলিশের কোয়ালিটি বাড়ানোর পথে রাজনীতি অন্তরায়। পুলিশের কোয়ালিটি কীভাবে বাড়বে? প্রতি বছরই পুলিশে ভাগাভাগি হচ্ছে। অমুক জেলায় পাঁচজন এমপি ওখানে পাঁচজন দিতে হবে। তখন উনারাও ভাগ নেন।”
সম্প্রতি ঠাকুরগাঁওয়ে এক দলীয় সভায় এই নিয়োগ বাণিজ্যকারীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, “প্রাইমারি স্কুলের নৈশ প্রহরীর চাকরি দিয়ে যারা টাকা খায় তারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবে না। পুলিশ কনস্টেবল কত গরিব মানুষ, এখানে ভাগ বসায়, আমার দুজন, পাঁচজন, আমার সাতজন; আর গরিব লোক জমি বিক্রি করে টাকা দেয় এসব লোক আওয়ামী লীগের নেতা হতে পারে না।”
রাজনীতিকরা শোধরালে পুলিশেরও উন্নতি হবে বলে মনে করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, “এমপি-মন্ত্রীরা নিজেদের পছন্দের ওসি-এসপি খোঁজে কেন? ওসি-এসপি আমাদের কথা শোনে না এই জন্য। অনেকে সৎ থাকলেও এটা সমস্যা, বদলাতে হবে। অর্থাৎ এ দেশে রাজনীতিকরা সঠিক পথে থাকলে পুলিশও সঠিক হয়ে যেত।
“পুলিশ সম্পর্কে আমাদের ধারণাটা পাল্টাতে হবে। আর এর জন্য রাজনীতিকরা চাঁদাবাজি বন্ধ করলে পুলিশের চাঁদাবাজিও বন্ধ হয়ে যাবে।”
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মিলনায়তনে পুলিশ কর্তাদের অ্যাসোসিয়েশনের ৩৮তম বার্ষিক সাধারণ সভায় বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের।
নির্বাচন সামনে রেখে বিশৃঙ্খলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “নির্বাচন আর বেশি দেরি নেই। নির্বাচন সামনে রেখে কোনো রকম পার্শিয়ালিটি না করে দুষ্টের দমন সৃষ্টের পালন কঠিনভাবে দেখতে হবে।”
সভায় পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক বলেন, “আমাদের পুলিশের জব স্যাটিসফ্যাকশন নাই। রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে পুলিশ হত্যা করেও আমাদের মনোবল ভাঙতে পারবে না, তবে আমাদের জব স্যাটিসফ্যাকশন থাকতে হবে। মনে কষ্ট নিয়ে দায়িত্ব পালন করা যায় না।”
সংগঠনের সভাপতি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়ার সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।