বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়া পল্টনের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা ও হয়রানিমূলক ১৪টি মামলার এই স্থানান্তর প্রতিহিংসামূলক রাজনীতির বর্হিপ্রকাশ। ক্যামেরা ট্রায়ালের মাধ্যমে বিচার কাজ পরিচালনা করার গভীর নীল নকশার ষড়যন্ত্র। বিচার কার্য্ক্রমকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে এটা করা হয়েছে।”
”আমরা মনে করি, আগামী সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশনেত্রীকে আরো বেশি হয়রানি করতে সরকারের এটি নির্মম পদক্ষেপ। এজন্য তারা (সরকার) এই প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। আমরা এহেন প্রজ্ঞাপন জারির নিন্দা জানাচ্ছি।”
জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট ও জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টে দুর্নীতির দুই মামলায় বকশিবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত আদালতের বিশেষ এজলাসে বিএনপি নেত্রী খালেদার বিচার কার্যক্রম চলার মধ্যে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা আরো ১৪টি মামলা সেখানে স্থানান্তর করে সোমবার আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের শাখা এক প্রজ্ঞাপন জারি হয়।
একে বিএনপি নেত্রীর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যাঘাত তৈরি করে এক তরফা নির্বাচন করার অপচেষ্টা হিসেবে দেখছেন দলটির নেতা রিজভী।
তিনি বলেন, “বেগম খালেদা জিয়াকে এমননিতে নতুন হয়রানিমূলক মামলায় সপ্তাহে কয়েকদিন বকশিবাজারের বিশেষ আদালতে হাজিরা দিতে হয়। নতুন ১৪ মামলা স্থানান্তরের উদ্দেশ্য হচ্ছে তাকে প্রতিনিয়ত হয়রানির মধ্যে রাখা এবং অবিরামভাবে হেনস্তা করা।
”দেশনেত্রীর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে আবারো একতরফা নির্বাচন করার যে চক্রান্ত ও অপচেষ্টা চলছে, এটিও তার অংশ। জনপ্রিয় নেত্রীকে নিয়ে তারা চক্রান্তে মেতে উঠেছে। আমি সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, নিজেদের বোনা চক্রান্ত জ্বালে নিজেরাই একদিন আটকা পড়বেন। সেদিন বেশি দূরে নয়।”
ঢাকা উত্তরের ‘মাঠ সমতল করার’ দাবি
সংবাদ সম্মেলন থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশ নির্বাচনে সব দলের সমান সুযোগ সৃষ্টির দাবি জানান বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, “উত্তর সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হলেও এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নির্বাচনী এলাকায় নেই। বিরোধী দলগুলোর সভা-সমাবেশ দূরে থাক, মতবিনিময় সভা করার মতোও পরিবেশ নেই। আপনারা দেখেছেন যে- জাতীয় দিবসগুলোতেও আমাদেরকে হল দেয়া হয় না, সমাবেশের জন্য কোনো মাঠ দেওয়া হয় না।
“এরকম একটি ভয়ঙ্কর পৈশাচিক শাসন যে দেশে চলে, সেদেশে তাদের নেতৃত্বে নির্বাচন কতটুকু অবাধ সুষ্ঠু হবে- সেই প্রশ্ন রয়েই গেছে। আমি বিএনপির পক্ষ থেকে ডিএনসিসির নির্বাচন সুষ্ঠু করতে নির্বাচনী মাঠ সমতল করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।”
সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, তৈমুর আলম খন্দকার, কেন্দ্রীয় নেতা আজিজুল বারী হেলাল, মীর সরাফত আলী, আশরাফউদ্দিন বকুল, আবদুল আউয়াল খান, মুনির হোসেন এবং শাহিন শওকত উপস্থিত ছিলেন।