সুষ্ঠু নির্বাচনের আলামত দেখছেন না ফখরুল

সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো আলামত এখনো চোখে না পড়ার কথা বলেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

সোমবার নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে সংবাদ ব্রিফিঙে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “নিশ্চয় লক্ষ্য করছেন, গত কয়েকদিনে অন্যায়ভাবে বেআইনিভাবে গ্রেপ্তারের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। যেদিনই আমাদের দেশনেত্রী কোর্টে যান, সেদিনই কোনো কারণ ছাড়াই পুলিশ আমাদের ১০০/১৫০ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করছে।

“গ্রেপ্তার করে আসামি দেওয়া হচ্ছে কাদেরকে? আসামি দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্ট বারের প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারিকে যারা ম্যাডামের সাথে কোর্টে থাকেন ওই সময়ে, আসামি দেওয়া হয়েছে সাবেক কেবিনেট সেক্রেটারি আবদুল হালিম সাহেবকে। এই পরিস্থিতিতে আমরা এখন পর্যন্ত সুষ্ঠু নির্বাচনের কোনো আলমত দেখতে পাচ্ছি না।”

‘জনগণের ভোটে চার বছর অতিক্রম করছি’  প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ফখরুল বলেন, “৫ জানুয়ারির নির্বাচন কী হয়েছে সেটা তো আপনারা পত্র-পত্রিকায়, টেলিভিশনে-মিডিয়াতে দেখিয়েছেন। ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। প্রায় সমস্ত কেন্দ্রে ভোটার ছিল না।

“এই অবস্থায় উনি (শেখ হাসিনা) বলেন, তাকে ভোট দিয়েছে, ভোট দিয়েছে বলেই উনি নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রী আছেন। প্রধানমন্ত্রী আছেন শুধুমাত্র জোর করে, দখলদারিত্বে। রাষ্ট্রের সমস্ত যন্ত্রগুলোকে ব্যবহার করে, জনগণের সমস্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা চূর্ণ করে দিয়ে জবরদস্তি ক্ষমতা দখল করে আছেন। তার যদি এতটুকু গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ থাকত, তাহলে পদত্যাগ করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের কাছে দায়িত্ব দিয়ে নতুন ক্ষমতার দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দিতেন।”

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।

“তবে এখনো প্রার্থী আমাদের চূড়ান্ত করা হয়নি। চূড়ান্ত হলে আপনাদের জানিয়ে দেওয়া হবে,” বলেন মির্জা ফখরুল।

সংবাদ ব্রিফিঙে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।