তিনি বলেছেন, “মানুষের যে ভোটের অধিকার সেটা হচ্ছে একটি মৌলিক অধিকার। সেই অধিকার সাংবিধানিক অধিকারের অনেক উপরে। সাংবিধানিক অধিকার দিয়ে মানুষের মৌলিক অধিকারের বিপরীতে কোনো কিছু করা যাবে না।”
নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিএনপির দাবিতে সরকারের অনমনীয়তার মধ্যে শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট’ এর উদ্যোগে এই আলোচনা সভায় একথা বলেন মঈন খান।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হওয়ায় দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপি। তার আগেই সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনী এনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বিলুপ্ত করে আওয়ামী লীগ সরকার।
বিএনপি এখনও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি জানিয়ে এলেও আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, নির্বাচন সংবিধান মতেই হবে।
মঈন খান বলেন, “বাংলাদেশে কি সাধারণ নির্বাচন সংবিধানের বাইরে হয়নি? একাত্তরে কি পাকিস্তানের সংবিধান দিয়ে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল? তাহলে কীসের সংবিধানিক অধিকারের কথা আজকের আওয়ামী লীগ সরকার বলছে।
“এই অজুহাত অর্থহীন, এটা একটা ধোঁকাবাজী, মানুষকে পরাধীন করে রাখার কৌশল। সেই বৃত্ত থেকে বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষকে বেরিয়ে আসতে হবে।”
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরে সাবেক মন্ত্রী মঈন খান বলেন, “আজ দেশে গণতন্ত্র নেই। গ্রামে-বন্দরে মানুষের সাথে কথা বললে দেখবেন তারা বলছেন- আমরা কোথায় যাচ্ছি? মিথ্যার ফুলঝুরি দিয়ে জনগণকে আর বোকা বানিয়ে রাখা যাবে না।
“ইনশাল্লাহ আগামীতে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারসহ কল্যাণকর জীবন ব্যবস্থা আমরা ফিরিয়ে দেব। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে অবশ্যই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একাদশ নির্বাচন হতে হবে।”
ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের সভাপতি শাহাদাত হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, খালেদা ইয়াসমীন, ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া বক্তব্য রাখেন।