ছাত্রলীগের কাউন্সিলের খবর বলেই দিলেন ওবায়দুল কাদের

ছাত্রলীগের কাউন্সিল কবে হবে- তা সংগঠনের নেতাদের ‘কানে কানে’ এতদিন জানিয়ে আসছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিজস্ব প্রতিবেদকও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Jan 2018, 06:56 AM
Updated : 6 Jan 2018, 10:07 AM

শনিবার ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি সবাইকে জানিয়ে দিলেন, আগামী মার্চে অনুষ্ঠিত হবে কাউন্সিল।

২০১৫ সালের ২৬ জুলাই সম্মেলনে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন নেতৃত্বে আসেন।

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী গত বছরের ২৬ জুলাই এই কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও সম্মেলন কিংবা কাউন্সিলের আয়োজন এখনও হয়নি।

কাউন্সিল করতে ছাত্রলীগের বর্তমান নেতৃত্বকে তাগিদ দিয়ে আসা ওবায়দুল কাদের গত অগাস্টে বলেছিলেন, “ছাত্রলীগের দুই নেতাকে (সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক) কানে কানে টেনটেটিভ টাইম বলে দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ করে আপনারা শুনতে পাবেন ছাত্রলীগের সম্মেলনের ডেট।”

তাতেও কোনো দিনক্ষণের ঘোষণা না আসায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন ক্ষুব্ধ নেতা গত ৩ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন, পরে অবশ্য আওয়ামী লীগের নেতাদের আশ্বাসে তা স্থগিত করেন তারা। 

এরপর শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রা উদ্বোধনের সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, “একটা খবর দেব, সুখবর। আমি নেত্রীর (শেখ হাসিনা) সঙ্গে কথা বলেছি। অনতিবিলম্বে ছাত্রলীগের নির্বাহী কমিটির সভা ডেকে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করুন। আগামী মার্চ মাসে, স্বাধীনতার মাসে সম্মেলন হোক- এটা নেত্রীর ইচ্ছা। সম্মেলনের প্রস্তুতি নিন, মার্চে সম্মেলন।”

ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাদের বলেন, “ছাত্রলীগের নেতারা সম্মেলন দিয়ে পদ না ছাড়লে আওয়ামী লীগে তোমরা জুনিয়র হয়ে যাবে। আমরা চাই আওয়ামী লীগে তরুণ নেতৃত্ব আসুক।”

ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বের প্রশংসাও করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।  

“কিছু কিছু নেগেটিভ দিক থাকতে পারে, তবে তাদের অর্জন অনেক।”

ক্ষুব্ধ নেতারা এখন খুশি

কাউন্সিলের সময় জেনে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা, যারা এতদিন ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছিলেন।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর শোভাযাত্রায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা

সম্মেলনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন (যা পরে স্থগিত হয়েছিল) আহ্বানকারী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সায়েম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নেত্রীর কাছে একটা বার্তা চাইছিলাম। সেই বার্তাটা আমরা পেয়েছি।

“সম্মেলন হওয়া-না হওয়াতে আমার খুশি-অখুশির কিছু নেই। কিন্তু যখন গঠনতান্ত্রিক বাধ্যবাধকতা আর সংগঠন গতিশীল করার জন্য নেত্রীর এই সিদ্ধান্তে খুশি।”

সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান রনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা নেত্রীর দৃষ্টি আর্কষণের জন্য সংবাদ সম্মেলন করতে চেয়েছিলাম। মাননীয় নেত্রী প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে। নেত্রীর দিকনির্দেশনায় আমরা সন্তুষ্ট।”

শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নেত্রীর এই নির্দেশনায় আমরা সন্তুষ্ট।”

আগামীতে নেতৃত্ব বাছাইয়ে শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন রাব্বানী।

“এবার যেন অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে, আমাদের শেষ আশ্রয়স্থল দেশরত্ন শেখ হাসিনা নিজে যাচাই-বাছাই করে, খোঁজ-খবর নিয়ে যেন যোগ্য প্রার্থীদের নেতা নির্বাচন করেন।”