২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের পর থেকে বিএনপি ওই দিনটিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে। অন্যদিকে ওই নির্বাচনের দিনকে ‘গণতন্ত্র সুরক্ষা দিবস’ হিসেবে পালন করছে আওয়ামী লীগ।
তবে প্রতিবারই ৫ জানুয়ারিতে সমাবেশের জন্য বিএনপি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান চাইলেও তা দেওয়া হয়নি। একই দিন সরকারি দল আওয়ামী লীগও সেখানে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আসলেও তারাও পায়নি।
অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানো ও নিরাপত্তার কথা বলে গত বছর কোনো দলকেই ভ্যেনুটি না দিয়ে বিএনপিকে নয়া পল্টনে এবং আওয়ামী লীগকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে নিজ নিজ দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে দেওয়া হয়।
শুক্রবার দুপুরে সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘গণতন্ত্র রক্ষা দিবস’ পালন করে সরকার সমর্থক বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টি। সেখানে সন্ত্রাস ও জঙ্গী দমনে আলেম-ওলামা সমাবেশ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হয়।
সমাবেশে হানিফ বলেন, ৫ জানুয়ারির ‘সংবিধান অনুযায়ী’ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত বাধা দিয়ে অশুভ শক্তির উত্থান ঘটাতে চেয়েছিল, যাতে এদেশে পাকিস্তানি রাষ্ট্র কায়েম হয়।
“এই জন্য বিএনপি নেত্রী নানান ধরনের তালবাহানা করে এই সরকারের সময় পার করতে চাইছেন। মনে করছেন, কোনোমতে এই সরকারের সময় পার করতে পারলেই তারা ক্ষমতায় এসে খালাস পেয়ে যাবেন।”
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে হানিফ বলেন, “নির্বাচনে আসা না আসা একটি দলের গণতান্ত্রিক অধিকার। আগামী নির্বাচন সঠিক সময়ে সংবিধান অনুযায়ী হবে। সে নির্বাচনে কে আসলো না আসলো তা বিবেচ্য বিষয় নয়।”
ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়্যারম্যান মো. ইসমাইল হোসাইনের সভাপতিত্বে এই সমাবেশে দুই দলের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান না পাওয়ার ব্যাখ্যা দেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, “বিএনপি সোহরাওয়ার্দীতে সমাবেশ চাওয়ার বহু আগে ইউনাইটেড ইসলামিক পার্টি সমাবেশের অনুমতি চায়। তারা অনুমোদন পাওয়ার একমাস পর বিএনপি অনুমতি চায়। প্রথা অনুযায়ী একটি দলকে অনুমোদন দেওয়ার পর আরেকটি দলকে অনুমোদন দিতে পারে না। এমনকি আওয়ামী লীগ চাইলেও না।
“তাই আজকে ইউনাইটেড ইসলামিক পার্টি সমাবেশ করেছে।”