ছাত্রলীগের সম্মেলন: সংবাদ সম্মেলন ডেকে স্থগিত ক্ষুব্ধ নেতাদের

মেয়াদ পেরোনোর কয়েক মাসেও ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন না হওয়ায় ক্ষুব্ধ সংগঠনটির কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকে পরে তা স্থগিত করেছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Jan 2018, 07:12 PM
Updated : 2 Jan 2018, 07:20 PM

সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) ক্যাফেটেরিয়ায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলন দাবিতে সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করা হয়েছে।

ওই সংবাদ সম্মেলনের খবর সংগ্রহে গেলে তা স্থগিত করার কথা জানান উদ্যোক্তাদের অন্যতম ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সায়েম খান।

কী কারণে সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “দলের (আওয়ামী লীগ) হাইকমান্ড থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা আগামীকাল আমাদের ডেকেছেন। সেখানে আমাদের দাবির বিষয়ে তারা শুনবেন এবং আমাদের কথা নেত্রীকে (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) জানাবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা সংবাদ সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করেছি।

“গত ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আগেই আমরা একটা ডিরেকশন (নির্দেশনা) চেয়েছিলাম। কাল যেহেতু সিনিয়র নেতারা আমাদের ডেকেছেন, আমরা আশা করছি সেখান থেকে একটা ইতিবাচক ফল পাব। তবে যে কোনো বিষয়ে নেত্রীর (শেখ হাসিনা) নির্দেশনা মানতে আমরা প্রস্তুত। তার কথাই চূড়ান্ত।”

সহ-সভাপতি আরেফিন সিদ্দিক সুজন বলেন, “জননেতা ওবায়দুল কাদের বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগের নিয়মিত সম্মেলনের উপর গুরুত্বারোপ করে কথা বলেছেন। আমরা তার থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছি। তিনি একসময় ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছেন। সংগঠন পরিচালনার নানা দিক সম্পর্কে তিনি অবগত। আমরা আশা করছি, তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে সম্মেলনের বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সময়োপযোগী নির্দেশনা দেবেন।”

শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক গোলাম রাব্বানী বলেন, “বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যারা জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ছাত্রলীগকে দেখভাল করেন তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের আমাদের ডেকেছেন। তিনি আমাদের কথা শুনবেন।”

কারও হুমকির মুখে সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে কি না- প্রশ্নের জবাবে আরেক সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান রনি বলেন, “আমরা কারও হুমকি-ধমকিতে ভয় পাই না। কারও রক্তচক্ষুকে পরোয়া করি না। সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করার একমাত্র কারণ হলো আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের প্রতি সম্মান প্রদর্শন। তারা আমাদের অগ্রজ। তাদের পরামর্শ ও নির্দেশনা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

২০১৫ সালের ২৬ জুলাই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্বে আসেন সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী গত বছরের ২৬ জুলাই বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়।