তিনি বলেছেন, “নিজেরা বোমা রাখে, অস্ত্র রাখে। তারপর যাকে ইচ্ছা তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তুলে নিয়ে যায়।”
বাংলাদেশের মানুষ জঙ্গি নয়, তারা শান্তিপ্রিয় মন্তব্য করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “তাদেরকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে জঙ্গি বানানো হচ্ছে, জঙ্গি বানাচ্ছে তারা (সরকার)। বিদেশিদের কাছে জঙ্গি দেখানো হচ্ছে।
“দাঁড়িওয়ালা-টুপি পরা লোক হলে সে জঙ্গি হয়ে যায়। একজন লোককে যদি এক মাস নিয়ে রাখা যায় তাহলে তার দাঁড়ি এ রকম হয়ে যাবে, তার চেহারা এ রকম হয়ে যাবে। তাকে ঘুমাতে দেবে না, তাকে খেতে দেবে না তাহলে জঙ্গি বানানো সহজ। এই কাজগুলো তারা করছে প্রতিনিয়ত। মানুষকে ধরে নিয়ে দীর্ঘদিন বন্দি করে রেখে জঙ্গি সাজায়।”
২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে যুদ্ধাপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন যখন সারা দেশে সাড়া ফেলে, সেই সময় তাদের নাস্তিক আখ্যা দিয়ে প্রতিহতের ডাক দিয়ে মাঠে নামে ধর্মীয় গোষ্ঠী হেফাজতে ইসলাম।
এক পর্যায়ে শুরু ব্লগার, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ও মুক্তমনা লেখক-প্রকাশকদের হত্যা। এরইমধ্যে ২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান ক্যাফেতে নজিরবিহীন জঙ্গি হামলায় ১৭ বিদেশি নিহত হওয়ার পর জঙ্গি দমনে ব্যাপকভাবে অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সন্দেহভাজন জঙ্গিদের ধরে নিয়ে আটকে রাখার যে অভিযোগ খালেদা জিয়া করেছেন, তার স্বীকারোক্তি সম্প্রতি এসেছে পুলিশের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার কাছ থেকে।
গেল মাসে জঙ্গি দমন নিয়ে এক সভায় ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেছেন, জঙ্গি সন্দেহে অনেককে ধরে নিলেও ‘তথ্য বের করার জন্য’ সব সময় তারা তা স্বীকার করতে পারেন না।
জঙ্গি সৃষ্টি আওয়ামী লীগ করেছিলো। শাইখ আবদুর রহমান, বাংলা ভাই সব তাদের জ্ঞাতি-গোষ্ঠি। কথায় কথায় কিছু হলে জঙ্গির ভয় দেখায়।”
শনিবার রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এই বক্তব্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন খালেদা জিয়া।
তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগের সঙ্গে যারা আছেন, যারা থাকবেন তারা একদিন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যে কাজগুলো তারা করছেন, একদিন তাদের বিরুদ্ধেই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হবে। কারণ তারা সব কিছু রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে করছে। দেশের এতোগুলো মানুষকে গুম করা, খুন করার কাজ করছে।”