নেতা-কর্মীদের পেছনে খালেদার ‘গোয়েন্দা’

দলীয় কর্মসূচিতে নেতা-কর্মীরা অংশ নিচ্ছেন কি না, সেই খোঁজ রাখতে ‘দলীয় গোয়েন্দা’ নামিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Jan 2018, 03:58 PM
Updated : 2 Jan 2018, 04:06 PM

বিএনপির আন্দোলনের সামর্থ্য নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রশ্ন তোলার প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ছাত্রদলের সমাবেশে এই সতর্কবার্তা দেন তিনি।

খালেদা জিয়া বলেন, “মোবাইলের জ্বালায় এখন আমি বিরক্ত হয়ে গেছি, ছবি ওঠাবে। আমি বলতে চাই, শুধু চেহারা দেখালে চলবে না, মোবাইলে ছবি ওঠালে চলবে না। ১০/১২ জন লোক নিয়ে একটা ছবি ওঠাল, বলল-আমি রাস্তায় ছিলাম, আমি আন্দোলনে মিছিল করেছি। এগুলো আর চলবে না।

“আমরাও বিকল্প ব্যবস্থা করেছি এখন। আমরা খবর রাখছি, তোমরা কীভাবে চলছ। কর্মসূচি দিলে কীভাবে সেটা পালন করছ, সেগুলো দেখার জন্য আমরা আমাদের গোয়েন্দা নিয়োগ করেছি।”

ছাত্রদলের সমাবেশে একথা বললেও এই নজরদারিতে যে সব সংগঠনেই রয়েছে, তাও জানিয়ে দেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

তিনি বলেন, “বিএনপির নেতৃবৃন্দও থাকবে তার মধ্যে। কেউ বাদ যাবে না। যাকে যে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তাকে সেই কাজ করতে হবে।”

‘আগুন জ্বালো স্লোগান বাদ দাও’

ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সুশৃঙ্খল ও ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে খালেদা বলেন, “তোমাদের আরও সুশৃঙ্খল হতে হবে। তাহলে সব কিছু জয় করা সম্ভব হবে।

“শুধু স্লোগান দিলে চলবে না। বাজে স্লোগান বাদ দিয়ে ছাত্রদের সমস্যা নিয়ে নতুন নতুন স্লোগান দিতে হবে। পুরনো ‘আগুন জ্বালো’ স্লোগান বাদ দিতে হবে।”

ছাত্রদলের কারাবন্দি সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদের ভুঁইয়াসহ নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেন খালেদা।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে ছাত্রদলের সমাবেশে পুলিশি হামলার নিন্দাও জানান তিনি।

পুলিশের উদ্দেশে খালেদা বলেন, “আমি বলব, আমার দেশের ছেলে-পেলেকে আর গুলি করে দেশের ক্ষতি কইরেন না। আপনাদেরও ছেলে-পেলে আছে, আপনাদেরও ভাই, বাবা-বোন আছে। তাই আপনারা ছাত্রদের  নিজের ছেলে-ভাইয়ের মতো দেখবেন। তারা যদি অন্যায় করে তাদেরকে ধরে নিতে পারেন। তারা কিছুদিন হয়ত সাজা খেটে পরিবর্তন হয়ে আসতে পারে।”

দুপুর ২টায় এই মিলনায়তনে এই সভা হওয়ার কথা থাকলেও ইনস্টিটিউশন কর্তৃপক্ষ সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় রাষ্ট্রপতির অনুষ্ঠানের কথা বলে মিলনায়তনে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

দুপুর ২টা থেকে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা জড়ো হলেও ঢুকতে পারেননি। বিকালে খালেদা পৌঁছার পৌনে ৈএক ঘণ্টা পর মিলনায়তন খুলে দেওয়া হয়।

ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসানের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, আবদুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমানউল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিব উন নবী খান সোহেল, ফজলুল হক মিলন, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, এবিএম মোশাররফ হোসেন, হাবিবুর রশীদ হাবিব, শফিউল বারী বাবু, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।