সোমবার দুপুরে দলীয় মেয়র প্রার্থী কাওসার জামান বাবলার পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে নেমে শহরের সিও বাজারে বর্ডার গার্ড মার্কেটে এক পথসভায় তিনি বক্তব্য দিচ্ছিলেন।
২১ ডিসেম্বর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দেবেন রংপুরের ভোটাররা।
পথসভায় ফখরুল বলেন, “২১ তারিখ সবাই ধৈর্যের সঙ্গে, নিয়ম-শৃঙ্খলার সঙ্গে ধানের শীষে ভোট দেবেন। ভোট কেন্দ্রগুলো পাহারা দেবেন। আওয়ামী লীগ চোরের দল। এরা ভোট চুরি করে। ভোট চুরি করতে দেবেন না”
সকালে ইউএস বাংলা ফ্লাইটে সৈয়দপুর এসে বেলা ১টার দিকে সিও বাজার থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন বিএনপি মহাসচিব। এরপর তিনি কাঁচারি বাজার ও পায়রা চত্বরেও গণসংযোগ ও পথসভায় বক্তব্য রাখেন। তিনি টানা দুই ঘণ্টা প্রচারে অংশ নেন।
ফখরুলের বক্তব্যের সময়ও এরশাদ সিও বাজার সড়ক দিয়ে পুলিশ প্রটোকলে পতাকাবাহী গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন।
ফখরুল বলেন, “এই রংপুরে আপনাদের একজন নিজস্ব ছাওয়াল আছেন। যে ছাওয়াল এখানে আছেন। তিনি আপনাদের রংপুরে কিছুই করেন নাই। আজকে এই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে একমত হয়ে, এক জোট হয়ে তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে তিনি কাজ করছেন।
“তিনি আজকে আমার সঙ্গে এসেছেন, পতাকা নিয়ে এসেছেন। পতাকা নিয়ে অর্থাৎ এই সরকারের সঙ্গে এক হয়েছেন। যে সরকার আমার ছেলেদের খুন করে, যে সরকার আমার মায়ের বুক খালি করেছে, তাদের সাথে কোনো আপস নাই।”
ধানের শীষের প্রার্থী কাওসার জাহান বাবলাকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “ধানের শীষে বাবলা ভাইকে দেবেন। ২১ তারিখ সকলে ধানের শীষে ভোট দেবেন।”
সিটি নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “আমার বাড়ি ঠাকুরগাঁও। আমাদের মধ্যে রংপুরের আত্মার সম্পর্ক আছে, সেজন্য আমি এতো অসুবিধা সত্ত্বেও ফ্লাইট বিলম্বের পরেও এখানে এসেছি। এই নির্বাচন শুধু রংপুর সিটি নির্বাচন নয়, এটি সারাদেশে দেশের রাজনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন।
সিও বাজার থেকে রিকশায় চড়ে প্রার্থীকে নিয়ে গণসংযোগ করেন মির্জা ফখরুল। কাঁচারি বাজারে এসে তিনি পথসভায় বক্তব্য দিয়ে প্রার্থী বাবলার হাতে ধানের শীষ প্রতীক তুলে দেন।
সিটি নির্বাচন পরিচালনা কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক দলের ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু পথসভায় সভাপতিত্ব করেন।
গণসংযোগে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নাল আবদিন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জামান, জাহাঙ্গীর আলম, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান, জেলা সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রইস আহমেদ, মহানগর সভাপতি মোজাফফর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম মিজু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনী প্রচার শেষ করে বিকালে মির্জা ফখরুল ঢাকায় ফেরেন বলে জানান শায়রুল কবির খান।