ঢাকা থেকে ফ্লাইটে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নেমে সড়কপথে রংপুর পৌঁছেই ধানের শীষের মেয়রপ্রার্থী কাওসার জামান বাবলাকে নিয়ে জনসংযোগে বের হন তিনি।
বেলা ১টার দিকে শহরের সিও (সার্কেল অফিসার) বাজার থেকে প্রচার শুরু হয়। হেঁটে হেঁটে ফুটপাতের পথচারী, বিপনিবিতানে বিক্রেতা-ক্রেতা, রিকশার যাত্রী-চালক সবার হাতে বাবলার জীবনবৃত্তান্ত সম্বলিত লিফলেট দিয়ে ভোট চাচ্ছেন বিএনপি মহাসচিব।
সিটি নিবার্চন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সদস্য সচিব আসাদুল হাবিব দুলু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুকসহ স্থানীয় নেতারা এসময় মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন।
স্থানীয় নেতারা জানান, দুপুর পর্যন্ত মির্জা ফখরুল মেডিকেল রোড, কাঁচারি বাজার, স্মৃতি বাজার, পায়রা চত্বর ও শাপলা চত্বর এলাকায় প্রচারে থাকবেন।
বৃহস্পতিবার রংপুর সিটিতে ভোট হবে; মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে নির্বাচনী প্রচার বন্ধ হয়ে যাবে।
ভোটের শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত রয়েছেন প্রার্থীরা। শহরের আদালত পাড়া, মুন্সীপাড়া, মেডিকেল কলেজ রোড, মাহিগঞ্জের সাত মাথা, মূলাটোনা, হাজারী হাট, তামপাট, মেডিকেল রোড়, গ্র্যান্ড হোটেল, চকই সবপুর, ফতেহপুর, চিলমন ও দর্শনা চষে বেড়াচ্ছেন তারা।
সকালে শহরে প্রবেশের পথেই রিকশাচালক তমিজ আলীর কাছে ভোটের পরিবেশ কেমন জানতে চাইলে বলেন, “আমরা ভোটের দিন শান্তির পরিবেশ চাই, নিজের ভোটটা নিজের পছন্দের বাহে‘কে দিতে চাই। এই পরিবেশ পাবো কিনা তা নিয়ে চিন্তায় আছি?”
রিফাত উল্লাহ বলেন, ‘‘ভোটযুদ্ধ হবে নৌকা ও ধানের শীষের প্রতীকে। কারণ জামায়াতের একটা ভোট ব্যাংক আছে। মনে হচ্ছে, তারা এবার ধানের শীষকে ভোট দেবে। দুইদিন আগ থেকে হাওয়া পাল্টিয়ে গেছে।
সিটি নির্বাচন উপলক্ষে শহরে ব্যানার-ফেস্টুন-পোস্টারে ছেড়ে গেছে। গোটা শহরটি যেন ব্যানারের শহরের পরিণত হয়েছে।
২০৩ কিলোমিটার আয়তনের রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর পদের মোট প্রার্থী ২৮৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে মেয়র পদে ৭ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২১১ জন এবং ১১টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিল পদে ৬৫ জন।
মেয়র পদে আওয়ামী লীগের সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু (নৌকা), বিএনপির কাওসার জামান বাবলা (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা (লাঙ্গল), জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী প্রার্থী হুসেইন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ (হাতি), ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের এটিএম গোলাম মোস্তফা (হাতপাখা), বাসদের আব্দুল কুদ্দুস (মই) ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ও সেলিম আখতার (আম)।
২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বরে রংপুর সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সরফত উদ্দিন আহমেদ ঝন্টু প্রথম মেয়র নির্বাচিত হন। ওই সময়েও বিএনপির প্রার্থীর ছিলেন কাওসার জামান বাবলা।