বিজয় দিবসে আ. লীগের নানা কর্মসূচি

পাকিস্তানি শাসন থেকে মুক্ত হয়ে বিজয়ের ৪৬ বছর উদযাপনে নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Dec 2017, 11:35 AM
Updated : 15 Dec 2017, 12:02 PM

নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্বের মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে স্থান করে নিয়েছিল যে বাংলাদেশ, এবার ৪৬ বছর পূর্ণ হতে যাচ্ছে তার বয়সের।

শনিবার বিজয়ের ৪৬ বছরে সরকারি-বেসরকারি নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে এ মাটির মুক্তির জন্য প্রাণ দেওয়া ৩০ লাখ শহীদকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে দেশবাসী।

বিজয়ের এই দিনের কর্মসূচি শুরু হবে সকালে শেরেবাংলা নগরে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে (পুরনো বিমানবন্দর) ৩১ বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে। তারপরের কর্মসূচি আবর্তিত হয় সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সূর্যোদয়ের পরপরই স্বাধীনতার স্মারকে ফুল দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

ভিআইপিদের শ্রদ্ধা জানানোর পর স্মৃতিসৌধ সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলে মুক্তিযোদ্ধা থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তির শ্রদ্ধা জানানো শুরু করবেন।

নানা কর্মসূচিতে বিজয়ের এই দিন উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল আওয়ামী লীগ।

বিজয় দিবসের সকালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়, বঙ্গবন্ধু ভবন ও দেশব্যাপী অন্যান্য কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।

দলের পক্ষ থেকে সাভার স্মৃতিসৌধ, ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি এবং টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের পাশাপাশি তার কবর জিয়ারতও করবে আওয়ামী লীগ।

ঢাকা মহানগরীর সব থানা শাখা বিজয় র‍্যালি নিয়ে পাক হানাদারদের আত্মসমর্পণস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাওয়ার পর, সেখান বেলা ২টা ৩০ মিনিটে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিজয় মিছিল নিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর অভিমুখে যাত্রার করবে মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ।

এতে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীরাও অংশ নেবে।

এছাড়া ১৭ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র আলোচনা সভা রয়েছে দলটির, যেখানে সভাপতি হিসাবে দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

১৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবেন দেশের বরেণ্য শিল্পীরা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে ১৯৭১ সালে মুক্তি সংগ্রাম শুরুর পর ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার তৎকালীন রেসকোর্স (এখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ময়দানে মুক্তিবাহিনী ও ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডের যৌথ নেতৃত্বের কাছে আত্মসমর্পণ করেন যুদ্ধে পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দেওয়া লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমীর আব্দুল্লাহ খান নিয়াজী।

দিবসটি যথাযত ভাবে পালনের জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর সারা দেশে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ করে যথাযথ মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপনের জন্য আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী, ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী ও সর্বস্তরের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান।