রংপুরে বিধিভঙ্গে হিড়িক দেখেও নির্বিকার ইসি: রিজভী

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের প্রার্থীরা ব্যাপকভাবে আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেও সেগুলোর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Dec 2017, 11:14 AM
Updated : 15 Dec 2017, 11:32 AM

উল্টোদিকে ধানের শীষের প্রার্থীকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে মন্তব্য করে রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে তিনি ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন।

রিজভী বলেন, “রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একদিকে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ও ক্ষমতাসীন জোটের প্রার্থী- দুজনই নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের হিড়িক সৃষ্টি করেছে; একের পর তারা আচরণবিধি ভঙ্গ করছে।

“সেদিকে নির্বাচন কমিশনের কোনো পদক্ষেপ নেই। সেদিকে তাদের কোনো নজর নেই, তারা নির্বিকার।”

রংপুরে মেয়র পদে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে বর্তমান মেয়র সরফুদ্দীন আহমেদ ঝন্টুকে সরকারি দল আওয়ামী লীগ এবং সরকারের শরিক, কিন্তু সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা মনোনয়ন দিয়েছে।

অন্যদিকে বিএনপির হয়ে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে রংপুর মহানগর সহসভাপতি কাওসার জামান বাবলা।

তাকে ভোট থেকে সরিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, একটু ত্রুটি পেলেই ‘ম্যাজিস্ট্রেটকে দিয়ে’ একের পর এক জরিমানা করা হচ্ছে। বিএনপির প্রার্থীকে মামলা দিয়ে ‘আউট করা’র চেষ্টা করেও পারেনি হাই কোর্টের কারণে।

“শুধু তাই নয়, বিএনপির পক্ষে যারা প্রচারণা করছেন তাদের বিরুদ্ধে তারা (স্থানীয় প্রশাসন) একের পর এক আইন জারি করছেন, জারিমানা করছেন, শাস্তি দিচ্ছেন। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজ উদ্দীন আহমেদের ৮৫তম জন্মদিন উপলক্ষে স্বাধীনতা ফোরামের উদ্যোগে এলিফ্যান্ট রোডের বাসায় কেক কাটা হয়।

 

এমাজউদ্দীনের জন্মদিনে ৮৫ পাউন্ডের কেক

১৯৩২ সালে অবিভক্ত বাংলার মালদহ জেলার কালিয়াচক থানার কালিনগরে এমাজউদ্দীন আহমেদের জন্ম। পরে তার পুরো পরিবার রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জে স্থায়ী বসতি স্থাপন করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছাড়াও তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন। এখন তিনি ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভের (ইয়োডা) উপাচার্য।

এলিফ্যান্ট রোডে নিজের বাসায় ৮৫ পাউন্ডের কেক কেটে অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদের জন্মদিন উদযাপন করা হয়। স্বাধীনতা ফোরামের উদ্যোগে বাসার নিচ তলায় এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠান হয়, যাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে সকলের প্রতি কতৃজ্ঞতা প্রকাশ করে এমাজ উদ্দীন বলেন, “১৬ ডিসেম্বরে বিজয়ের মাধ্যমে আমরা পরাধীনতার ব্যথা থেকে মুক্তি পেয়েছি। তবে আমাদের স্বপ্ন ও দাবিগুলো আজও পুরণ হয়নি।”

‘কাউকে আঘাত দিয়ে কথা না বলার জন্য’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি পরামর্শ রাখেন অধ্যাপক এমাজউদ্দীন।

ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন বলেন, “উনাকে শ্রদ্ধা জানাই, উনি আমাদের মধ্যে আছেন, কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি যেন শেষ সময় পর্যন্ত সুস্থভাবে কাজ করে যেতে পারেন- এই দোয়া করছি।”

এছাড়া বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সহ প্রচার সম্পাদক আসাদুল করীম শাহিন, সাংবাদিক এম এ আজিজ, আবদুল হাই শিকদার ও জাহাঙ্গীর আলম প্রধান বক্তব্য দেন।

স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ‘র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, আবদুস সালাম আজাদ, ফরিদা ইয়াসমীন, অপর্না রায়, খালেদা ইয়াসীমন, মনিরুজ্জামান মুনির, মিয়া মো. আনোয়ার, জাকির হোসেন, অধ্যাপক এমাজউদ্দীনের মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, লেবার পার্টির একাংশের চেয়ারম্যান এমদাদুল হক চৌধুরী, মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদি, যুগ্ম মহাসচিব শামসুদ্দিন পারভেজসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।