কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
তমাল ঈশ্বরদী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ছিলেন। গত ২৯ নভেম্বর রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প এলাকায় চার সাংবাদিককে মারধরের ঘটনায় বুধবার তাকে কারাগারে পাঠায় পাবনার আদালত।
যুবলীগের রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মোহাম্মদ নাসিম পাভেল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গত এক বছরে তমালের নানা অপকর্মে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দলের মধ্যে গ্রুপিং ও নিজ দলের কর্মীদের ওপর হামলা, বাড়িঘর ভাংচুরসহ নানা অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।”
যুবলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের এক ঘটনায় গত মে মাসে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এই সহযোগী সংগঠনের ঈশ্বরদী উপজেলা কমিটি স্থগিত করা হয়েছিল।
ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় দুই মাস কারাগারে থাকার পর জামিন পান তমাল। জামিনে থাকা অবস্থায় গত ২৯ নভেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র এলাকায় তমাল ও তার সহযোগীদের মারধরের শিকার হন চার সাংবাদিক।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিনিধি সৈকত আফরোজ আসাদ, এটিএন নিউজের রিজভী রাইসুল জয়, ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি পার্থ হাসান ও সময় টিভির ক্যামেরাম্যান মিলন হোসেন ওই হামলায় আহত হন।
ওই ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় পার্থর দায়ের করা মামলায় বুধবার আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেছিলেন তমাল। কিন্তু বিচারক সেই আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ঈশ্বরদীর মুক্তিযোদ্ধা মুস্তাফিজুর রহমান সেলিম বলেন, “মন্ত্রীর ছেলে তমাল যুবলীগের নেতা হওয়ার পর এলাকায় তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়ে যায়।তার বিরুদ্ধে মাদক কেনাবেচা, চাঁদাবাজি, ভূমি দখল ও টেন্ডারবাজির অভিযোগও রয়েছে।”