দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে: খসরু

চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় অনেক দ্রব্যের দাম দেশের সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Dec 2017, 06:34 PM
Updated : 13 Dec 2017, 06:34 PM

বুধবার এক আলোচনা সভায় সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী খসরু বলেন, “আজকে চালের দাম, পেঁয়াজের দামসহ সবজি, মাংস মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। যেভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, সেখানে সাধারণ মানুষের অবস্থাটা কোথায় গিয়ে ঠেকেছে বুঝুন।

“বাংলাদেশের মানুষ শুধু গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে নয়, আজকে অর্থনৈতিকভাবেও বঞ্চিত হচ্ছে। মানুষ শুধু তাদের ক্রয়ক্ষমতা হারাচ্ছে না, তারা একটা বড় ঋণের বোঝা নিয়ে তাদের ছেলে-মেয়েদের বাঁচতে হবে।”

সরকারের ‘চরম সমন্বয়হীনতা ও অব্যবস্থাপনার’ কারণেই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।

বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে এই আলোচনা সভা হয়।

বিদ্যুতের দাম নিয়ে আমীর খসরু বলেন, “বিএনপি আমলে বিদ্যুতের যে দাম ছিল তা বর্তমানে ২০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, গ্যাসের দাম বেড়েছে ৮০ শতাংশ। আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল ব্যবসায়ীদের মুনাফা দিতেই বার বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে।

“এই যে রেন্টাল ও কুইক রেন্টালে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে দুর্নীতি এজন্য জনগণ উচ্চমূল্য দিচ্ছে তাই শুধু নয়। বাংলাদেশে রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ ক্রয়ে যে দুর্নীতি হচ্ছে তার বিরুদ্ধে ৫ হাজার ৮৪১টি অডিট আপত্তি আছে এবং এই অডিট আপত্তি অর্থের হিসাবে হচ্ছে ৩৪ হাজার কোটি টাকা। এ থেকে বোঝা যায় কীভাবে বিদ্যুৎ খাতে দুর্নীতি হচ্ছে।”

দুর্নীতির এসব অর্থ বিদেশে ‘পাচার হচ্ছে’ অভিযোগ করে তিনি বলেন, “এগুলো যাচ্ছে সুইস ব্যাংকে, পানামা পেপারর্সে নাম আসছে এদের। এগুলো চলে যাচ্ছে বিদেশের বিভিন্ন জায়গায়, সেখানে উচ্চ মূল্যে তারা বাড়ি-ঘর কিনছে। এসব তথ্য জনসমক্ষে আছে।

“এসব তথ্য ঢাকা দিতে, আড়াল করতে ক্ষমতাসীনরা এখন মিথ্যাচার করছে। আওয়ামী মিথ্যাচারের কারখানা করে তারা বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এসব কারখানা করেছে তাদের লুটপাট-দুর্নীতিকে আড়াল করার জন্যে।”

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এক বক্তব্যের জবাবে আমীর খসরু বলেন, “বাকশালের মাধ্যমে উনারা (আওয়ামী লীগ) নিজেদের অস্তিত্বটাই নিজেরা বিলীন করে দিয়েছিলেন এবং সেই অস্তিত্ব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সাহেব বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। আর এখন উনারা যেই পথে চলছেন, আবারও কিন্তু আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক দল হিসেবে অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলছে।

“আমি অনুরোধ করব, নিজেদের কথা চিন্তা করুন।”

আগামী নির্বাচনে না এলে বিএনপির অস্তিত্ব থাকবে না বলে মঙ্গলবার এক সভায় মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

আয়োজক সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা রেজাবুদ্দৌলা চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, জাসাস সহসভাপতি বাবুল আহমেদ, গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোটের সমন্বয়কারী হুমায়ুন কবির বেপারী উপস্থিত ছিলেন।